এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। বিধানসভা ভোট একেবারে সামনে। তাই বর্তমানে ত্বহা এবং মমতার এই বৈঠক নিয়ে নতুন করে জল ঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতি মহলে।
এদিন প্রতিনিধি দল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নের বৈঠক করতে আসলেন ত্বহা। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। তাতে মুসলিমদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার কথা উল্লেখ করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল তৈরি হয়েছে কিন্তু তা এখনো চালু হয়নি। পানীয় জল সকলে ঠিক সময় পাচ্ছে না। এই কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি দাবি রেখেছেন, হাই ড্রেনের ব্যবস্থা, শাইনেজ গেট নির্মাণ ইত্যাদি অত্যন্ত তাড়াতাড়ি করতে হবে।
বিধানসভা ভোট একেবারে সামনে। এই মুহূর্তে বাংলা রাজনীতিতে অন্যতম বড় প্রশ্ন হল বাংলা সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক কার দিকে যাবে। ইতিমধ্যেই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ঘোষণা করে দিয়েছেন তাঁর দল অর্থাৎ এআইএমআইএম পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে আসবে। এর আগে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ যেত সিপিএমের দিকেই ।
কিন্তু পরবর্তীতে পালাবদলের পরে, সংখ্যালঘুদের ভরসা হয়ে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারে মমতার সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে হাত দিতে আসছে মিম। আবার বাংলা সংখ্যালঘু ভোটের গতিপ্রকৃতি বর্তমানে বেশ কিছুটা অন্যরকম। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের খাতির বেশ ভালো। কারণ ওই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক। এই কারণে ২১ নির্বাচনের কিছুদিন আগেই মমতা এবং ত্বহা সিদ্দিকীর এই বৈঠক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তবে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি, ত্বহা নিজে এসেছেন নাকি মমতা ডেকে পাঠিয়েছিলেন।