আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছরের মত এ বছরেও পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপূজা নিয়ে কার্যত সাজো সাজো রব। আর প্রতিবছরের মতো এবারও পুজোর ক্লাবগুলির জন্য টাকা খরচের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী এবারে ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে পুজোতে অনুদান দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার সাথেই ৫০ শতাংশ নয় বরং বিদ্যুৎ বিলের উপর ৬০ শতাংশ ছাড় পেয়ে যাবেন পুজা উদ্যোক্তারা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “কম টাকাতে ভালো পুজো করা যায়। আবার বড় ক্লাবের বড় মেনু এবং বড় ভেন্যু হয়। এমনভাবে পুজো করবেন যাতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা না ঘটে। গ্রামের শিল্পীরা আপনাদের ওখানে কয়েকদিন থেকে খুশি হয়। বিদেশীরা যেন কোন সমস্যায় না পড়ে।”
এদিন কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ এবং প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরাও। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমাদের হিসাব মতো এখানে ৪৩ হাজার পুজো কমিটি বা পুজো ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু বাড়ির পুজো রয়েছে, পল্লীর পুজো রয়েছে, ছোট-বড় পুজো রয়েছে। ক্লাব না থাকলে পূজো নিয়ে গর্বই করতে পারতাম না। কলকাতায় দুর্গাপূজায় যত টাকা খরচ হয়, আর কোথাও কি এত টাকা খরচ হয়? নাম না করে বিজেপিকে তিনি কটাক্ষ করেছেন, ‘অনেকে বড় বড় কথা বলে। কলকাতায় নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। কলকাতায় বিশ্বসেরা দুর্গা পূজা হয়। এক বছর আগে থেকে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।’
ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় সম্প্রতি স্থান পেয়েছে বাঙালির দুর্গোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় কলকাতার দুর্গাপুজোকে। এই কৃতিত্ব কার? রাজ্যের পুরভোটের প্রচারে কিন্তু ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিকে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর মিছিল হবে। কোন রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ওই মিছিল থেকে ইউনেস্কোকে আমরা ধন্যবাদ জানাবো। দুপুর দুটো নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে জমায়েত হবে। সেখানে শাঁখ থাকবে, বাঁশি থাকবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যোগদান করতে পারবেন।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “বিসর্জন হবে ৫,৬,৭,৮ তারিখ। জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ। কলকাতার পুজো কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ।’ শুধু তাই নয় এবারের পূজোয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১০ দিন সরকারি কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
The New York Times daily puzzle Connections once again left fans scratching their heads on…
Fans of FX’s English Teacher were left emotional and disappointed this week after the network…
Fans of FX’s English Teacher were left speechless this week after the network confirmed that…
Johnny Depp is opening up about one of the most personal boundaries he’s set as…
The Golden Bachelor Season 2 finale was nothing short of explosive. After eight emotional weeks,…
The Golden Bachelor Season 2 finale delivered one of the most emotional and jaw-dropping moments…