রাজীব ঘোষ: রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা হচ্ছিল, এন আর সি বিপর্যয় তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে।দেশের মানুষের কাছে এর জবাব দিতে হবে।দেশ এবং সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।এন আর সি প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলাভাষী ভাইবোনেদের জন্য খারাপ লাগছে।জাতাকলে পড়ে তাদের ভুগতে হচ্ছে।অসমে এন আর সি-র তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় ১৯ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে।
প্রথমে খসড়া তালিকায় প্রায় ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছিল।তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবার পর দেখা গিয়েছে সেই সংখ্যা কমে ১৯ লক্ষ নাম এন আর সি-র তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।এই বিষয়ে অসমের সংগঠন আসু ইতিমধ্যে এই এন আর সি তালিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছে।তাদের বক্তব্য প্রকৃত নাগরিকদের নাম বাদ পড়েছে।অনুপ্রবেশকারীদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে।কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই ত্রুটিযুক্ত এন আর সি তালিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঠিক প্রক্রিয়ায় এই তালিকা তৈরি করা হয় নি বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।শুধু কংগ্রেস নয়, অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই এন আর সি তালিকা সঠিক হয় নি বলে জানিয়েছেন।এই তালিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান।তার কথায়, অসমের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার প্রচুর অনুপ্রবেশকারীদের নাম এন আর সি তালিকায় রয়েছে।
কিন্তু অসমের অন্যান্য জেলায় প্রকৃত নাগরিকদের নাম এই তালিকায় নেই।এটা কীভাবে সম্ভব?জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ তালিকা যে ঠিক হয় নি, সেটা তিনি জানান।ফলে শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, এন আর সি তালিকা নিয়ে বিজেপির মধ্যেও মতবিরোধ শুরু হয়েছে।