বাঁকুড়ার সভা থেকে ফের কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলু পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র কে নিশানা করলেন মমতা। তিনি বললেন, নতুন কৃষি আইন এর ফলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। করোনার ফলে মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস বর্তমানে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে এরকম একটি নীতি নিয়ে আসার ফলে তরতর করে বাড়ছে আলু পিয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। আর সেই নিয়ে কেন্দ্রকে বিধলেন মমতা।
এই মাসের শুরুর দিকে বাঁকুড়া সফরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকে তিনি তৃণমূল সরকার কে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আর্জি জানান রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে। এদিন সেই আরজির পরিপেক্ষিতে কথা বলতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের বাঁকুড়া গেলেন মমতা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। মমতা সেখানে গিয়েছিলেন সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে আলু পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারের নতুন কৃষি আইনকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন নিয়ে এসে চাষীদের সবকিছু কেড়ে নিতে চাইছে।
বঙ্গের শীত প্রায় দোরগোড়ায়। পুজোর সময় আলু পেঁয়াজের দাম একটু বেশি থাকলেও, শীতের শুরুতে দাম আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু এবছর সেরকম কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি কেজি আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরি করতে চলেছে আবার পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরির পথে। শুধু আলু পিয়াজ নয়, আরো অন্যান্য জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া হয়ে গিয়েছে। আর এই নিয়ে মমতা বললেন,” বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হওয়ার পিছনে শুধুমাত্র কৃষি আইন দায়ী। চাল ডাল আলু পেঁয়াজের মতো খাদ্যপণ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই জন্যই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে আলু পেঁয়াজের দাম। এরা চাষীদের সবকিছু গ্রাস করতে চায়।
শুধু এখানেই থেমে ছিলেন না মমতা, করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন তিনি। কেন্দ্র ভ্যাকসিন তৈরি করতে না পারলে রাজ্যকে বলুন, আমরা নিজেরাই ভ্যাকসিন তৈরি করে নেব। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তারই প্রাক্কালে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে জল্পনা উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।