দেড় মাসেরও কম সময়ে ২ কোটি মানুষের ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সাফল্য নজর বিহীন। টুইটে এই সাফল্যের কথা তুলে ধরে আবার রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝে অবশ্যই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের গ্রাহকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে কোনও সরকারি প্রকল্পে কতজন সুবিধা পেলেন, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে এইদিন টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইভাবে সরকারকে ঘরে ঘরে পরিষেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাবাসী, এমনটাই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২০২০ সালের ১ লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দুই মাস ধরে তা চলার কথা। সহজে হাতের কাছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বিধানসভা ভোটের আগে সরকারের এই ক্যাম্প ভোটমুখী এক প্রকল্প বলেই ধারণা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহল। কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, কৃষকবন্ধু থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, জয় জহরের মতো একাধিক সরকারি প্রকল্পের সাফল্যের মুখ দেখেছিল। এইবার সাফল্যের সিঁড়ি ধরে আরও খানিকটা উঠল বাংলার সরকার। এইদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল ২ কোটি।
এর মাঝে ৬২ লক্ষ মানুষ কেবল ‘স্বাস্থ্যসাথী’র সুবিধা পেয়েছেন তপসিলি জাতি উপজাতির শংসাপত্র নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা কাঁটিয়ে প্রায় ৭ লাখ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে এই ক্যাম্প থেকে। এছাড়া ৪ লাখ চাষি ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। টুইট পরিসংখ্যান সহ পরিষেবার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া শিবির থেকে সরকারের এই সাফল্য যেমন ভোটের আগে তৃণমূলকে যোগাচ্ছে বাড়তি অক্সিজেন, তেমনই বিজেপির রক্তচাপ বাড়াচ্ছে, তা বলাই যায়।