কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তোড়জোড় অবশ্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে হিন্দি দিবসে হিন্দি ভাষাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট কার্যত রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইট করে বলেন, রবি ঠাকুরের বৈচিত্রের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধের ভাবনা নিয়ে বাংলা বারবার অন্তর্ভুক্তিকরণের পথে হেঁটেছে। হিন্দি শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং কল্যাণমূলক কাজে আমরাও ভাল কাজ করছি। বাংলায় সব ভাষাকে সমানভাবে স্বাগত।’ এভাবেই হিন্দি দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী হিন্দি ভাষা এবং হিন্দি শিক্ষার মানুষদের ওপর ইতিবাচক মন্তব্য করেন।
শুধু তাই নয় এদিন রাজ্যে নতুন করে হিন্দি সেল খোলা হয়। যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে এবং সভাপতি হয়েছেন বিবেক গুপ্ত। এ রাজ্যে হিন্দি মানে বিজেপি ভোট ব্যাঙ্ক, আর সেই ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল-কংগ্রেসের এমন উদ্যোগ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত হিন্দি সাম্রাজ্যে হানা বসাতে চাইছে শাসকদল। তবে হিন্দি সেল শুধুমাত্র বড়বাজার অঞ্চলে সীমাবদ্ধ না করে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে তৎপর তৃণমূল।
যদিও হিন্দি সেল গড়ে তোলার পেছনে কোনও রাজনৈতিক ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন, বাংলার মধ্যেই হিন্দির অবস্থান রয়েছে। একটা ভাষার ওপর কোনও একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের একছত্র অধিকার থাকতে পারে না। বাংলা, হিন্দি নির্বিশেষে সকলকে এক করাই এই সেলের লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন সভাপতি বিবেক গুপ্ত। তবে হিন্দি দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।