শনিবার থেকেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন মমতার, হুইল চেয়ারে বসেই চলবে কর্মসূচি

গতকাল নন্দীগ্রাম প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। পায়ে ও কাঁধে চোট পেয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন করিডোর করে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় আনা হয়। কাল সন্ধ্যেবেলা…

Avatar

গতকাল নন্দীগ্রাম প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। পায়ে ও কাঁধে চোট পেয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন করিডোর করে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় আনা হয়। কাল সন্ধ্যেবেলা এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। তারপর এক্সরে করে তার বাঁ পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গবাসীর ফোকাস মুখ্যমন্ত্রীর দিকে সরে গেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এখন চিন্তার বিষয় এই নির্বাচন শুরুর ঠিক শেষ মুহূর্তে তাদের নেত্রী জখম হলে ভোট প্রচার হবে কি করে?

তবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতলে শুয়ে বার্তা দিয়েছেন, “প্রয়োজন হলে আমি হুইলচেয়ারে বসে ভোট প্রচার করব।” তারপর তিনি রাজ্যের সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে থেকে। তিনি বলেছেন, “পায়ে ব্যথা আছে। মাথাতেও খুব যন্ত্রণা করছে। কাল খুব লেগেছিল আমার। আমি প্রণাম করার সময় ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে আমার খুব জোর লাগে। এরপর কয়েকদিন হুইল চেয়ারে বসে কর্মসূচিতে যাব। আপনারা সংযত থাকুন এবং শান্ত থাকুন।”

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী কেমন আছে তা জানালেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন, “বাঁ পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্লাস্টার করার সময় তার মারাত্মক যন্ত্রণা হয়েছে। বর্তমানে তাকে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা অত্যন্ত কমে গেছে।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও বার্তার পর এটি স্পষ্ট যে খুব তাড়াতাড়ি ভোটযুদ্ধের ময়দানে নামবে মমতা। আগামী শনিবার জঙ্গলমহলের কর্মসূচি দিয়ে আবার হইতো সক্রিয় রাজনীতিতে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী।