রাজ্যনিউজ

Digha Jagannath Mandir: বাংলা নববর্ষের পরই হবে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, সোনার ঝাড়ু দেবেন মমতা, কবে খুলবে মন্দির?

দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে উন্মাদনা রয়েছে

Advertisement

বাংলা নববর্ষের পরেই উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ আগামী ৩০ শে এপ্রিল দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দীঘার জগন্নাথ মন্দিরেও একই রকম ধ্বজা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। পুরীতে যারা ধ্বজা তোলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেই এই ধ্বজা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন আগামী বছরের রথ শুরু হবে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে। তার জন্য যে সোনার ঝাড়ু ব্যবহার করা হয়, তার টাকা সরাসরি নিজের একাউন্ট থেকে দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঝাড়ু তৈরি করার জন্য তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।

তবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনা তিনি করতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজাদের সময় পুরীর মন্দির তৈরি হয়েছিল। আর দিঘার মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। আলাদা করে ভোগ রুম, গেস্ট রুম এবং স্টোর রুম থাকতে চলেছে। পাশাপাশি পুজো দেবার জন্য পৃথক ঘর থাকতে চলেছে এই মন্দিরে।

কি কি বিশেষত্ব রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরে?

দীঘার এই জগন্নাথ মন্দির টি তৈরি হয়েছে ২০০ একর জমি নিয়ে। ইতিমধ্যেই নব্বই শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং যে কাজ বাকি আছে সেটা তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই পুরো মন্দির তৈরি করেছে HIDCO। জগন্নাথ দেবের কাঠ এবং পাথরের মূর্তি থাকবে এই মন্দিরে। মন্দিরের প্রবেশদ্বারে থাকবে চৈতন্যদেবের মূর্তি। এই প্রবেশদ্বারের নাম দেওয়া হয়েছে চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম।

মন্দিরের আশেপাশে সনাতন ধর্মের লোকজনরা দোকান করতে পারবেন। কালীঘাটে যে রকম প্যারা ক্ষীরের গজা এবং গুজিয়া পাওয়া যায়, সেরকম এখানেও পাওয়া যাবে। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। মুখ্য সচিব জেলাশাসক সনাতন ধর্মের সভাধিপতি, ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি, এবং অন্যান্য পুরোহিতরা থাকবেন এই বোর্ডে। তবে কোন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা থাকছে না এখানে।

দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার জন্য এখনো পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে এই সংখ্যাটা আরো একটু বেশি হবে। পাশাপাশি তৈরি হবে ঘাট এবং জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। সেদিকে এখনো পর্যন্ত কাজ হয়নি। দীঘায় রথযাত্রায় থাকবেন রাধারমন দাস। রথের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হবেন মন্দিরে। ইসকনের বদলে এবার দীঘায় রথ যাত্রায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ছয় মাস ভোগ এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহ মন্দিরের যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। আশা করা হচ্ছে সারা দেশের মানুষ দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে আসবেন এবং প্রার্থনা করবেন।

Related Articles

Back to top button