একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি তাদের পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের কাজে লেগে পরেছে এবং দলের শীর্ষ নেতারা ভোটের রণনীতি নির্ধারণ করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এবারের নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির ও গেরুয়া শিবিরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই নির্বাচনে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে রাজ্যের তপশিলি ও উপজাতি মানুষের ভোট। তাই এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গের তপশিলি ও উপজাতি ভোটের দিকে। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছে।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিন অর্থাৎ চতুর্থ দিন। তিনি গত কিছুদিন ধরে উত্তরবঙ্গের মাটিতে ঘাস ফুল ফোটানোর জন্য জেলার কোনায় কোনায় জনসভা করছেন। আসলে আগামী লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল একদমই ভালো হয়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি থেকে বলেছিলেন, “আগেরবার লোকসভা নির্বাচনে আমরা গোহারা হেরেছি। তবে আশাকরি বিধানসভা ভোটে আপনারা আমাদের পুষিয়ে দেবেন।” মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক নিজের দিকে টানতে গত তিন দিনের ডুয়ার্স সফরে একদিন কোচবিহার ও অন্যদিন আলিপুরদুয়ারে ছিলেন। আজ উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে এসে তিনি বিকেলে কলকাতায় এসে তৃণমূলের একটি তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্মেলনে হাজির থাকবেন।
অন্যদিকে ভোট প্রচারের কাজে পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবির। আগামী সপ্তাহে কোচবিহার জেলা থেকে বিজেপি রথ যাত্রার মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী যাত্রা শুরু করবে। সেই সূচনা অনুষ্ঠানে থাকবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা প্রমুখরা। তবে রাজ্যের শাসক দল তপশিলি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ভোট পেতে মরিয়া। তাই খোদ মুখ্যমন্ত্রী বারংবার তপশিলি জাতি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তাদের সমস্ত রকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।