একুশের নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে মমতার সভা বাতিল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বাকবিতন্ডা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগে। এবার বিজেপির সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম (Nandigram) সফরে যাচ্ছেন। নন্দীগ্রামে গিয়ে তিনি তেখালিতে জনসভা করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করতে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সভার কিছুদিন আগে হঠাৎ করে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয় যে ৭ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম সফরে যাচ্ছেন না। আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই দাবি করেছিল যে শুভেন্দু অধিকারী গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করতে ভয় পাচ্ছেন। বা তৃণমূল ভয় পাচ্ছে শুভেন্দুর এলাকায় জনসভায় বেশি লোক না হলে তা যথেষ্ট অসম্মানের হবে। কিন্তু বিতর্কের দিনেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর জনসভা বাতিল করার পিছনে অন্য কারণ আছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সেই সময় নন্দীগ্রাম সভার মূল সংগঠক ও রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনাই আক্রান্ত হয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভাতে যাচ্ছে না। অখিল গিরি না থাকলে নন্দীগ্রামে তৃণমূল সভা করা যে বিফল তা সবাই জানে। তখনই জানানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা বাতিল করলেও খুব শিগগিরই তিনি সেখানে সভা করবেন। সেই অনুযায়ী আজ দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, চলতি জানুয়ারি মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের সভা করবেন এমন নয়। এক মাসের মধ্যেই তিনি আরো দুই জেলাতে জনসভা করতে পারেন। দুই জেলার লিস্টে আছে নদীয়া এবং পুরুলিয়া। নদীয়ার রানাঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন সেখানে পাল্টা সভা করবেন তিনি। সেই অনুযায়ী নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ জানুয়ারি জনসভা করলে শুভেন্দু অধিকারী কবে আবার জনসভা করেন, সেটাই দেখার।