Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

“দেশের স্বার্থে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা”, ভ্যাকসিন চেয়ে মোদিকে চিঠি মমতার

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে নাজেহাল গোটা দেশবাসী। প্রায় প্রত্যেকটি রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় বেশ জাঁকিয়ে বসেছে করোনার সংক্রমণ। নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য দিনরাত এক করে কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়েছেন। তিনি বারংবার দেশের সব মানুষকে দ্রুত টিকাকরনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আবারো টিকাকরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন তিনি। আসলে আজকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৈঠকে তাকে বলার এক সেকেন্ডও সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই বৈঠকের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ভ্যাকসিনের চাহিদা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

মমতা ব্যানার্জি আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি চিঠি লিখে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কোন পলিসি নেই। তবে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি কর্মীদের করোনার যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।” এছাড়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বাংলায় সরকারি কর্মীদের সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে চান তিনি। তার জন্য ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে কেন্দ্রের কাছ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে রেল, বিমান, বন্দর, বীমা, প্রতিরক্ষা ও ব্যাংকের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সব কর্মীরাই দেশের জরুরী পরিষেবা কাজ করে যাচ্ছে। কাজের স্বার্থে কারা অনেকের সাথে মিশতে বাধ্য হচ্ছে। তাই বয়স নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত টিকা দেওয়া উচিত।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এই অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা প্রত্যেকেই রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমারা পেপার ওয়ার্ক করে রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের এক সেকেন্ডের জন্য কথা বলতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের জেলাশাসকদের বলতে দেওয়া হল। তারপর নিজেই বক্তব্য রেখে বৈঠক শেষ করলেন। কী বক্তব্য রাখলেন কিছুই বোঝা গেল না। বলে গেলেন করোনা নাকি কমে গেছে!”

Related Articles

Back to top button