সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে জোর চাপানউতোর চলছে। অনেকেই মনে করছেন এবার হয়তো তিনি একেবারে তৃণমূল দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। তৃণমূল দলের মধ্যে এরকম অন্তর্দ্বন্দ্ব সাধারন জনগনের সামনে এলে আসন্ন নির্বাচনের ফল যে খুব একটা ভালো হবে না তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বাংলার গেরুয়া শিবির বারংবার একই ব্যাপার নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছে। আসলে বিজেপি সুযোগ বুঝে গরম লোহাতে হাতুড়ি মারতে চাইছে। কিন্তু বিজেপির সমস্ত মাস্টারপ্ল্যান ভেস্তে দিতে ভোট যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ৪ ই ডিসেম্বর অবধি বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বদের সাথে বৈঠক করবেন। তারপরই ৭ তারিখ দলের হাল ধরতে শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসভা করবেন তিনি। সেইদিন থেকেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন দলকে। আবার ৭ তারিখের পর ৯ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার বনগায় জনসভা করবেন তিনি।
অন্যদিকে শুভেন্দুর পদত্যাগের পরেই অনেকেই মনে করেছে ভোটের মুখে হয়তো এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “পুরো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদি গোটা পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী। তার নির্দিষ্ট কোন কেন্দ্র শক্তিশালী কেন্দ্র এমন নয়।” এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, পুরো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ নিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অবতীর্ণ হবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর থেকে পরপর জননেত্রী পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জনসভা করবেন। মমতা এটা বুঝিয়ে দেবেন যে পুরো পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের মুখ একজনই। সে হল আর কেউ না, তিনি হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে তিনি একাধারে যেমন দলীয় সংগঠনকে ভোকাল টনিক দেবেন, তেমনভাবে বিজেপিকে অল আউট করার ছক কষে দেবেন তিনি।