নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ম্যারাথন প্রতিবাদ কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোম, মঙ্গল, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ময়দানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রতিবাদ মঞ্চে হাজির ছিলেন তিনি। সেখান থেকে আরও একবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে। দাবি তুললেন গণভোটের। রাষ্ট্রসংঘ সেই ভোটের আয়োজন করুক, চান তিনি।
এদিন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেন, যদি বুকের পাটা থাকে, তবে গণভোটে আসুক। সেখানে হারলে গদি ছাড়ার কথাও বলেন বিজেপিকে। এদিনও সিএএ, এনআরসি নিয়ে সুর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ভারতবর্ষ রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের দেশ। এখানে সর্বধর্মের সমান অধিকার। কোনওভাবেই ভাগাভাগি বরদাস্ত করা হবে না। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করুন। প্রতিবাদ করুন।
বৃহস্পতিবার থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন সোশাল পেজের লোগো বদলে দেওয়া হয়। বদল এসেছে মমতার ফেসবুক পেজের লোগোতেও। এদিন থেকে তৃণমূলের নতুন ক্যাম্পেন ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া, সিটিজেন, নাগরিক’। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চেও শোনা যায় সেই ‘নাগরিক’–এর কথা। মমতা বলেন, বিজেপি নিজের ক্ষমতাবলে বিভিন্ন রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করছে।
আরও পড়ুন : নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কোনো পরিস্থিতিতেই পিছু হটবে না কেন্দ্র, জানালেন অমিত শাহ
কিন্তু গোটা দেশে যে নাগরিক ধারা জারি হয়েছে ওদের নজরে তা পড়ছে না। এরপরই মমতার হুঙ্কার, এসব ধারা, অসাংবিধানিক কাজ আমরা রুখে দেব। মানুষকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। যত দিন যাবে আন্দোলন আরও বাড়বে বলে এদিন জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, এটা কোনও সম্প্রদায়ের আন্দোলন নয়, এটা অধিকারের আন্দোলন, গণতন্ত্রের আন্দোলন, গোটা দেশের আন্দোলন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন কমিটি গড়ুক। গণভোট হোক। কিন্তু যে আইন মানুষের অস্তিত্বকে সঙ্কটের মুখে এনে দাঁড় করায় তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।
শুক্রবার পার্ক সার্কাস ময়দানে জনসমাবেশ করবে তৃণমূল। লাগাতার পথে নামবে তারা। এই আন্দোলনে ছাত্র, যুবরা আরও বেশি করে সক্রিয় হোক চান মমতা। তাঁর কথায়, ছাত্ররা যেখানে সক্রিয় সেখানে জয় আসবেই।