সম্প্রতি বিহার ভোটে পাঁচটি আসন জয় করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম। এবার তাদের টার্গেট বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তাদের হাতে ইতিমধ্যেই আছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট। অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রধান শক্তি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট। একপ্রকার মিম মমতার সাথে থাকলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে মিম স্বতন্ত্রভাবে ভোটে দাঁড়ালে তারা রাজ্যের পুরো সংখ্যালঘু ভোট পেয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের জয়লাভের সমূহ সম্ভাবনা আছে।
বাংলায় বিজেপি আশা রেখেছে সংখ্যালঘু ভোট মমতা না পেলেই তার আর জেতা সম্ভব নয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত সহজে হেরে যাওয়ার মানুষ নয়। তার একটা মাস্টারস্ট্রোক ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে গেরুয়া শিবিরের বাংলা জয়ের আশাকে। এরইমধ্যে অবশ্য মিম আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল সরকারের সাথে জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে হায়দ্রাবাদের ভোট ও বিহার ভোটের ক্ষেত্রে মিম বিজেপির সুবিধা করতে ভোট কাটার হিসেবে নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছিল। দুই ক্ষেত্রেই স্ট্রাটেজি কাজেও লেগেছে।
কিন্তু আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে মিম আর বিজেপির সাথ দিচ্ছে না। বরং তারা আগামী বাংলার শাসকদল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসকেই চায়। তাই বাংলার মিমের মুখপাত্র অসীম ওয়াকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। মিম যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে নামে সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক থাকবে তাদের দখলে। আর এই ভোট মমতার হাত থেকে বেরিয়ে গেলে বিজেপির জয় লাভের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাব দেওয়া সত্বেও এখনো অব্দি তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে মিমকে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। আগেভাগেই মিম প্রস্তাব দিয়ে যে একটা বড় চাল খেলে গেল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মিমের সাথে তৃণমূলের জোট হয়ে গেলে বিজেপির পক্ষে বাংলায় জয়লাভ করা অসম্ভবের আরেক নাম। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার প্রস্তাবে সায় দিলেই বিজেপির খেলা শেষ। শেষ পর্যন্ত বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে আটকানোর চাবিকাঠি সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই।