একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা। অন্যদিকে বিপক্ষে গোটা গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে ‘তৃণমূল বনাম বিজেপি’ না বলে ‘মমতা বনাম মোদী’ বলে অভিহিত করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেই লড়াইতে নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি আরও একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার নির্দেশে অন্যরাজ্যের বিজেপি নেতারা নেমেছেন বাংলার ময়দানে। তবে এইবার বাংলা ভোটের পরিচালনার উদ্দেশ্যে অঘোষিত দল তৈরি করে ফেলেছে পদ্ম শিবির। নীলবাড়ি দখলে দলের বিভিন্ন নেতাকে কাজে লাগানো হলেও রাজ্য বিজেপির সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে শাসক শিবিরকে রুখতে এইবার মাঠে নামছে বিজেপির বাছেই একাদশ। সেই দলের অধিনায়কত্ব করতে চলেছেন বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভোটের ময়দানে প্রধান ভূমিকায় দেখা যাবে দিলীপ ঘোষকেই। তার ঠিক পাশে নিজের ভূমিকা পালন করবেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। যতই তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব থাকুক, এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তাদের দেখা যাবে এক সাথে কাজ করতে। এইবার তৃণমূল নেত্রী মমতাকে রুখতে বড় ভূমিকা পালন করবেন মুকুল রায়। সেই হিসেবেই দলের শীর্ষে দেখা যাবে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়কে।
মাঝ মাঠ সামলাবেন সেই সমস্ত নেতারা যারা ইতিমধ্যেই রয়েছেন ময়দানে। থাকবেন পাঁচ বিজেপি নেতা। মাঝ মাঠের দায়িত্বে থাকবেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়(রাঢ়বাংলা), সায়ন্তন বসু (উত্তরবঙ্গ), জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো(মেদিনীপুর), সঞ্জয় সিংহ (কলকাতা) এবং বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী(নবদ্বীপ)।
ডিফেন্সের দায়িত্ব সোজা গিয়ে পড়েছে তিন কেন্দ্রীয় নেতার ওপরে। প্রধান দায়িত্ব থাকবে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ওপর। তবে কেবল তিনি একা নন, সাথে থাকবেন অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেননও। তবে সবেতেই বড় ভূমিকা থাকবে ‘গোলরক্ষক’ অমিতাভের ওপরে। তবে দিলীপ সেনার রিজার্ভ বেঞ্চ ও বেশ শক্তিশালী রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। তবে সেখানেও স্থান হয়নি রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহের। তিনি এখনও এই বিষয়ে কিছু জানাননি বলে সূত্রের খবর।