দীর্ঘ ৪৭ বছর পর বড়পর্দায় মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ জুটিকে আবারো দেখা যাবে একসাথে। পরিচালক অভিজিৎ সেনের আসন্ন ছবি ‘প্রজাপতি’তে পর্দায় আবারো একসাথে মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি দেখা মিলবে মমতা শঙ্করের। এই ছবিতে দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া বন্ধু তারা। তবে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সামনে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে নিজের বন্ধুত্ব নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছেন অভিনেত্রী। আপাতত অভিনেত্রীর সেই মন্তব্যের সূত্র ধরেই সরগরম মিডিয়ামহল।
শোনা যায়, মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবিতে শুটিংয়ের সময় অভিনেতার সাথে মমতা শঙ্করের বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। তবে সেদিন অভিনেতার সাথে বিয়েটা না হওয়া নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর। তার কথায়, অভিনেতার সাথে তার বিয়েটা না হয়ে ভালোই হয়েছে।
এই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে তার বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার পরেই তিনি নিজের জীবনসঙ্গী চন্দ্রোদয়কে আরো ভালো করে চিনেছেন ও জেনেছেন বলেই মত অভিনেত্রীর। তবে বিয়ে ভাঙা নিয়ে অভিনেতার সাথে তার কোনদিনই বন্ধুত্বে কোন তিক্ততা আসেনি বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
মিঠুনের সঙ্গে যখন বিয়ে ঠিক হয়েছিল অভিনেত্রীর তখনও চন্দ্রদায়ের সাথে পরিচয় ছিল মমতা শঙ্করের। পরবর্তীকালে তাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকি চন্দ্রদয়ের সাথেও মিঠুন চক্রবর্তীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বলেই জানা যায়।
অভিনেত্রীর কথা থেকে এও জানা গিয়েছে, যদি সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে তার বিয়ে হত তাহলে, তাকে অভিনয়, নাচ দুই ছেড়ে দিতে হত। কারণ অভিনেতার কথায়, বাড়ির বউ ঘরে থাকলে। আর তার এই ধারণাতেই অসুবিধা ছিল অভিনেত্রীর। তবে মমতা শঙ্কর নিজের কথা শেষ করার আগে একটা কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার জন্য চন্দ্রোদয় আর মিঠুনের জন্য যোগিতা বালাই উপযুক্ত। সম্প্রতি অভিনেত্রীর এই খোলামেলা বক্তব্যই তাদের নিয়ে চর্চা হওয়ার অন্যতম কারণ। আপাতত ‘প্রজাপতি’র অপেক্ষায় সকল সিনেমাপ্রেমীরা।