নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কাশি-ঘণ্টা, ঢাক-ঢোল নিয়ে ফের পথে নামলেন মমতা

Advertisement

Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: এনআরসি, সিএএ–র প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের পথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে চতুর্থ দিন পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধান সরণি থেকে মিছিল শুরু হয়। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করে মিছিল শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী। মিছিলের আগে বিধান সরণিতে একটি সভাও করেন মমতা। সেখানে বলেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কিন্তু তৃণমূলকে কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। আন্দোলন চলবেই। তিনি বলেন, লখনউয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হল না। অথচ দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে বিজেপি নেতারা অবাধে মিটিং, মিছিল করে যাচ্ছেন। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, গণতন্ত্র কারা মানেন, কারা মানেন না।

Advertisement

তবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল সরকার। এদিনের মঞ্চ থেকে বারবার সে কথাই শোনা গেল মমতার গলায়। তিনি বলেন, এই আন্দোলন গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। কেউ তা রুখতে পারবে না। কোনওভাবেই এ দেশে এনআরসি, সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন : প্রতিবাদ আরও তীব্র করতে NRC র বিরুদ্ধে জোট বাঁধার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement

মমতার কটাক্ষ, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে কোনও মিল নেই। একজন অপরজনের উল্টো সুর ধরছেন। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে তার ফল যে কতটা তেতো হয় তা ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে বুঝিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী।

একইসঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের হয়ে সুর চড়ান মমতা। প্রশ্ন তোলেন, মতুয়ারা এ দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে। তোপ দাগেন জেপি নাড্ডার হুডখোলা গাড়িতে মিছিল করা নিয়েও। বলেন, গাড়ি চড়ে মিছিল হয় না। এরপরই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না। দিল্লি জ্বলছে। উত্তরপ্রদেশ জ্বলছে। ভারতের মানুষ ভারতের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে পথে নেমেছেন। নতুন দিন আসবেই। মানিকতলা, কাঁকুরগাছি হয়ে এই মিছিল পৌঁছবে বেলেঘাটার গান্ধিভবনে। সেখানেও সভা করার কথা মমতার।

Recent Posts