ভোটের আগে আদিবাসী এবং তফসিলিদের জন্য দরাজ মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসীদের জন্য ২০ লাখ পাকা বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
আদিবাসীদের জন্য ২০ লাখ পাকা বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাজেটে রীতিমতো চমক দিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, আগামী ৫ বছরে বাংলার তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য ২০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করবে বাংলার সরকার। কেবল জঙ্গলমহল নয়, উত্তরবঙ্গের জন্যও একাধিক বড় প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যাতে বাগানের কাছেই জমি খুঁজে চা শ্রমকদের জন্য বাড়ি তৈরি করবে বাংলার সরকার।
নিজের বাজেট বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই গৃহহীন আদিবাসী এবং তফসিলিদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫ বছরে গৃহহীনদের জন্য তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য ২০ লাখ পাকা বাড়ি নির্মিত হবে। যত মাটির বাড়ি আছে সব পাকা কড়া হবে এবং সংস্কার করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী এর জন্য আগামী এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি তফসিলি এবং আদিবাসীদের জন্য আরও বেশ কিছু বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তফসিলি জাতি উপজাতিদের জন্য ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, অলচিকি ভাষায় ৫০০টি স্কুল, এবং নতুন দেড় হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। জঙ্গলমহল এলাকায় জঙ্গল সুন্দরী নামের শিল্পনগরী তৈরি হবে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গেও ‘গো হারা’ হারার পর একুশের আগে উত্তরের জন্যও দরাজ মুখ্যমন্ত্রী। বাজেটে চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নতিতে দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে রাজ্যের ৩ লক্ষ চা শ্রমিকের একটা বড় অংশের কাছে পাকা বাড়ি নেই। তাদের বাড়ি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ‘চা সুন্দরী’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে আগামী ২ বছরের মধ্যে তা শেষ করবে সরকার। শুধু তাই নয়, চা শ্রমিকদের পাশাপাশি রাজবংশীদের জন্যও বিশেষ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, রাজবংশী ভাষার ২০০টি বিদ্যালয়কে সরকারি অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।