Business Plan: ১২ মাস ধরে আসবে টাকা, সামান্য পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা
আম রপ্তানি করতে হলে ফলের ভালো মানের পাশাপাশি সঠিক ওজনও থাকা প্রয়োজন। এ জন্য আম চাষিদের ব্যাগিং করতে হয়। ব্যাগিংয়ের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্যবিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আম পরীক্ষা করার সুবিধাও এখন আমাদের দেশে রয়েছে। এক কেজি আম ফল ব্যাগ করতে খরচ হয় প্রায় ২ টাকা। সার ও কীটনাশক ইত্যাদি মিশ্রিত হলে এক কেজির দাম ১০ টাকা হলে ২০ টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়।
আম বা অন্যান্য ফলের ব্যাগ ফলকে ছত্রাকের সংক্রমণ, মাছির উপদ্রব, পোকামাকড়ের ক্ষতির পাশাপাশি আবহাওয়ার খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করে। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে, আমের ভালো দাম পেতে কৃষকদের আমের উপর ব্যাগ রাখতে হবে। এক কেজি আমের জন্য একটি ব্যাগের দাম ২ টাকা। এক কেজিতে চারটি আম উঠছে। অর্থাৎ ২ টাকা খরচ করে চারটি আম মানসম্মত করা যাবে।
মানদণ্ড অনুযায়ী রপ্তানির জন্য প্রতিটি আমের ওজন হওয়া উচিত ২৫০ গ্রাম। কৃষকরা যদি ব্যাগিংয়ের জন্য ১০ টাকা খরচ করেন, তাহলে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা লাভ হতে পারে। শুধু আম রফতানির জন্য নয়, দেশীয় বিক্রির জন্যও ব্যাগিং জরুরি হতে হবে। কারণ এতে আমের গুণগত মান উন্নত হয়। ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে ১২ পিস আম দিয়ে ৩ কেজি প্যাকিং করছেন চাষিরা। এটি ভালোভাবে প্যাকেজিং করে ভারতেই আমের ভালো দাম পাওয়া যাবে।
ছোট আম চাষিদেরও উন্নত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এখন আমাদের দেশে। ক্রপিংয়ের পদ্ধতি, ন্যূনতম কীটনাশক, ব্যাগিং ইত্যাদি শিখে ওহ কৃষক এখন মুনাফা অর্জন করছে। ব্যাগিং কৌশল অবলম্বন করে আমের দাম ৪ গুণ বেশি হয়েছে। ১৫০ টাকা কেজি দরে ১৮-২০ টাকা দামে আম বিক্রি করা হচ্ছে বলেও খবর।
আমের পুরোনো জাত সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এ জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবার প্রতি কেজি আমের দাম পড়বে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজার খোলা থাকায় আম বিদেশে পাঠাতে না পারলে দেশের বাজারে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।