কলকাতা: গতকাল, বুধবার থেকেই বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। এমনকি বিজেপির নবান্ন অভিযানের ওপর ভিত্তি করে দু’দিন নবান্নের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও স্যানিটাইজার এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের যুক্তি দিয়ে রাইটার্স ও নবান্ন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। তবুও বিজেপিকে ভয় পেয়ে শাসক দলের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব দাবি করেছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিজেপির নজরে একুশ। আর তাই তার আগে এই নবান্ন অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিজেপি যুব মোর্চার ডাকা এই নবান্ন অভিযান ঘিরে তত্পর হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ। মিছিল আটকাতে সবকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসেছে ব্যারিকেড। মোতায়েন কমব্যাট ফোর্স। তবুও আটকানো গেল না মহিলা মোর্চার নেত্রীদের। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই ঘিরেই এই মুহূর্তে উত্তেজনার পারদ আরও চরমে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে থিক থিকে ভিড় বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে। সারা দেশে যেভাবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তাতে সামাজিক দুরত্ববিধিকে থোড়াই কেয়ার করেছে গেরুয়া শিবির। সবকিছু ভুলে কার্যত নবান্ন অভিযান নিয়ে মেতেছে গেরুয়া শিবিরের দলীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ”মমতা দিদি ভয় পেয়েছেন। এ ডর অচ্ছা হ্যায়।’ তারপর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলায় অরাজকতা চলছে। বাংলার যুবকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত গোটা দেশ। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই সরকারকে উৎখাত করেই ছাড়ব।’