নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাত ধরে উঠে এল আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। বহু কথোপকথনে জানা গিয়েছে রিয়া চক্রবর্তী নিয়মিত মারিজুয়ানা ও এমডিএমএ কিনতেন। উনি এই মাদকগুলি কার উপর বব্যবহার করতেন তা এখন বিচার্য বিষয়। কিন্তু সুশান্তের ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে হিমসিম খেয়েছে সিবিআই। মুম্বাই পুলিসের অসহযোগিতা এবং কুপার হসপিটালের পাঁচজন ডাক্তারের তৈরি করা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী কোন ক্লু পায়নি সিবিআই। তাই শুরু হয় মনের ময়নাতদন্তের।
প্রসঙ্গত, এক ড্রাগ ডিলার গৌরবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর থেকেই মারিজুয়ানার পাতা, কুঁড়ি কিনতেন রিয়া। চলুন সংক্ষেপে মারিজুয়ানা সম্পর্কে জেনে নিই। মারিজুয়ানা হল একধরনের উদ্ভিদ। এর প্রধান সাইকোঅ্যাক্টিভ উপাদান হল THC. এর দুটি দিক আছে। অনেকে ব্যাথা কমানোর জন্য এই ড্রাগ ব্যবহার করেন, কিন্তু কেউ কেউ নিছক উন্মাদনার জন্যেও এর যথেচ্ছ প্রয়োগ করেন। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান,”তারা ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানার মাদক ক্রিয়া করে তা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন প্রথম। এর পর ওই ইঁদুরের শরীরে এসব মাদক প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, তাতে ইঁদুরটি বেহুশ হয় না। বরং ওটির প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজা বা মারিজুয়ানার ভালো গুণ মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে”।
যদি গাঁজা খাবার বা পানীয়তে খাওয়া হয় তবে এর প্রভাবগুলি কিছুটা বিলম্বিত হয় – সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পরে দেখা যায়। কারণ ড্রাগটি প্রথমে পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যাইহোক, যেসব লোক বেশি পরিমাণে মারিজুয়ানা অথবা এই ধরনের বিনোদনমূলক ড্রাগ গ্রহণ করেছেন তারা তীব্র মানসিক রোগের সম্মুখীন হতে পারেন, যার মধ্যে হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি এবং ব্যক্তিগত পরিচয়ের বোধের ক্ষতি রয়েছে।
ফিরে আসি রিয়ার প্রসঙ্গে, আরেকটি কথোপকথন থেকে জানা গেছে যে রিয়ার ফোনে ‘মিরান্ডা সুশি’ হিসাবে সংরক্ষিত একটি নম্বরের সঙ্গে রীতিমত সংযোগ বজিয়ে রেখে চলতেন। অভিনেত্রীকে এই ব্যক্তি “হাই রিয়া, স্টাফ প্রায় শেষ” বলে জানিয়েছে। মিরান্ডা তারপরে রিয়াকে জিজ্ঞাসা করে,”আমাদের কি শৌভিকের (রিয়ার ভাই) বন্ধুর কাছ থেকে নেওয়া উচিত? তবে তার সবেমাত্র হ্যাশ ও কুঁড়ি রয়েছে।” তদন্ত চলছে, পরবর্তী খবর জানার জন্য পাশে থাকুন।