Maruti Suzuki বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে ধামাকা করবে, সবার বিক্রি বন্ধ করে দেবে এই নতুন eWX কনসেপ্ট
মারুতি সুজুকি ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি বাড়ানোর জন্য
ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির (EV) বাজারে বড় ধামাকা করতে চলেছে মারুতি সুজুকি! তারা ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে একটি নতুন ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক বাজারে আনতে চলেছে, যা টাটা মোটরসের জনপ্রিয় টিয়াগো ইলেকট্রিককে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেবে। এই ছোট ইলেকট্রিক গাড়িটি তৈরি হবে সুজুকির eWX কনসেপ্টের উপর ভিত্তি করে, যা ২০২৩ সালের জাপান মোবিলিটি শোতে উন্মোচন করা হয়েছিল। মারুতি সুজুকির লক্ষ্য হলো ছোট গাড়ির বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রভাব বাড়ানো এবং প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার ইচ্ছুক গ্রাহকদের টেনে আনা। টাটা মোটরস বর্তমানে এই সেগমেন্টে টিয়াগোর মাধ্যমে লিডারের ভূমিকা পালন করছে। ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
ইলেকট্রিক গাড়িগুলো আরও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে মারুতি সুজুকি ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে ৫ লক্ষ ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এই কোম্পানি। ওয়াগন আর ইলেকট্রিক প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মারুতি সুজুকি নতুন একটি ইলেকট্রিক গাড়ির আর্কিটেকচার তৈরি করছে, যার নাম কোডনাম K-EV। পূর্বের মডেলের মতো এটি কম্বাশান ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে না, বরং একটি নতুন স্কেটবোর্ড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। YY8 নামের এই নতুন প্ল্যাটফর্মটি টয়োটা 40PL প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
মারুতি সুজুকির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সিভি রামন জোর দিয়ে বলেছেন যে, fram-ice প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ভবিষ্যতে তৈরি হতে চলেছে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি। K-EV-এর খরচ কমানোর মূল চাবিকাঠি হলো উচ্চমাত্রার স্থানীয়করণ, এমনকি ব্যাটারি সেল লেভেল পর্যন্ত। ব্যাটারি সরবরাহকারীর বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি, তবে সুজুকি মোটর ইতিমধ্যেই হাইব্রিড মডেলের ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য অংশীদারিত্ব করেছে। যেখানে বছরে Tata Tiago বছরে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ইউনিট বিক্রি হয়, সেখানে টেক্কা দিতে চলেছে মারুতি সুজুকি।