দেশনিউজ

হচ্ছে না কোনও ধর্মীয় আচার, প্রজাতন্ত্র দিবসে শুরু হতে চলেছে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ

Advertisement

করোনা (Coronavirus) মহামারির মধ্যেই গত আগস্টে (August) ধুমধাম করে বহু প্রতিক্ষিত রামমন্দিরের (Ram Mandir) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ হয়ে গিয়েছে। যেখানে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সম্প্রতি চাঁদা (Donation) তোলার কাজও শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ শুরু হতে চলেছে অযোধ্যার বহু প্রতিক্ষিত মসজিদেরও।

আর সেই জন্য ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদ নির্মাণের আগে কোনও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হবে না। বরং সেদিন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সূচনা করা হবে মসজিদ নির্মাণের। সেইসঙ্গে ধান্নিপুরে প্রস্তাবিত মসজিদ স্থলে তোলা হবে পতাকাও।

গত বছর অযোধ্যা মামলার রায় শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে সায় দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো কাজ এগোতে শুরু করে।

রাম মন্দিরের নির্মাণস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ধান্নিপুরে মসজিদটি তৈরি হতে চলেছে। গত ডিসেম্বরেই  সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) প্রস্তাবিত মসজিদের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ প্রকাশ করে। যাতে মসজিদের পাশাপাশি প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নকশাও তুলে ধরা হয়েছে।

ঐতিহ্য মেনে প্রস্তাবিত  মসজিদের মাথায় বিশালাকার গম্বুজ থাকলেও, তা আদ্যোপান্ত পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে তৈরি হতে চলেছে। মসজিদের মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যেরই নিদর্শন। মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও।

প্রস্তাবিত হাসপাতালটির যে নকশা তুলে ধরা হয়েছে, শহরের ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিংগুলি তার কাছে হার মানতে বাধ্য। এছাড়াও মসজিদ স্থলে জাদুঘর, গ্রন্থাগার, বাগান, কমিউনিটি কিচেন, ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল রিসার্চ সেন্টার এবং প্রকাশনী সংস্থার নকশারও ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে অযোধ্যা জেলা প্রশাসন।

নির্মাণকার্যের তত্ত্বাবধানে থাকা আইআইসিএফ  রবিবারই মসজিদের সূচনা নিয়ে একদফা বৈঠক করে। সেখানেই সর্বসম্মতিতে ২৬ জানুয়ারি মসজিদ নির্মাণের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নেন সংগঠনের ৯ ট্রাস্টি। পরে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, ২৬ জানুয়ারি  সকাল ৯টায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রকল্পের সূচনা ঘটবে। আয়কর ছাড়, বিদেশি অনুদান ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়েছে এক প্রস্থ। সাত দশক আগে ওই দিন দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। তাই ওই দিনটিকেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।

Related Articles

Back to top button