মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবার বাংলায়, নির্দেশিকা জারি নবান্নের
মাস্ক না পরলে তার বিরুদ্ধে মহামারী মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
গত বছরের শুরুতে প্রথম চীনের বুকে করোনা ভাইরাস তার আত্মপ্রকাশ করেছিল। তারপর মার্চ মাসে ভারতে সংক্রমণ শুরু হয়। তারপর থেকে প্রায় ৬ মাস দেশজুড়ে লকডাউন ছিল। তারপর চলতি বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ একদম কমে গিয়েছিল বলা চলে। তবে তার স্থায়িত্ব হলো না বেশিদিন। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন দেশজুড়ে সংক্রামিত হতে শুরু হল। বর্তমানে মাসের প্রায় শেষে ভয়াবহ অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের। করোনা সংক্রমনের গগনচুম্বী গ্রাফ গতকাল জানিয়েছে যে ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা দেশের পাশাপাশি বেহাল অবস্থা ভোটমুখি বাংলার।
সম্প্রতি বাংলাতে করোনা সংক্রমনের পরিসংখ্যান দেখে রীতিমতো উদ্বেগে পড়েছে রাজ্যবাসী। গতকাল ১৩ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে দৈনিক সংক্রমণ। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। এই পরিস্থিতিতে পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালের বেড। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের যোগান নেই প্রত্যেকটি হাসপাতালে। মুহুর্মুহু প্লাস্টিকে মুড়ে মৃতদেহ বিভিন্ন সরকারি চুল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আজ নবান্নে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকা অনুযায়ী জনসমক্ষে এবার থেকে বাংলায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পরে ধরা পরলে তার বিরুদ্ধে মহামারী মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলা ছাড়া অন্যান্য রাজ্যগুলিতে করণা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। দেশের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৮ জনের। রাজধানী কোন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার জায়গা নেই। রাস্তায় হাসপাতালের বাইরে লাইন দিয়ে পরে আছে মুমূর্ষু রোগীরা। গোটা রাজ্যে অক্সিজেনের হাহাকার লেগে গেছে।