এতদিন পর্যন্ত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ছিল ১১০ কিলোমিটার। তবে এবারে পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর ভদ্রক শাখার ৮০টি দূরপাল্লার ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করে করা হল ১৩০ কিলোমিটার। এবার থেকে যদি আপনার পুরি যাবার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে শতাব্দী এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে আরো তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারবেন আপনার গন্তব্য পুরি স্টেশনে। যে সমস্ত ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে সেই তালিকায় হাওড়া-পুরী শতাব্দী ছাড়াও আছে ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী, হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত, অঙ্গ, বেঙ্গালুরু-আগরতলা সুপারফাস্ট, হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি সুপারফাস্ট, সেকেন্দরাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট, ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
ভারতীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, লাইন সংস্কার এবং নানা রকমের মহড়া বছরে পর বছর ধরে চালানোর পরেই রেলের গতি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে ভারতীয় রেল। এখানে পূর্ব রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখার ওই সমস্ত ট্রেনের যাতায়াতের সময় কমবে এবং সেই শাখার দুটি স্টেশনে যেতে কম সময় লাগবে যাত্রীদের। নির্দেশিকা অনুযায়ী, যেসব ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে সেই সমস্ত ট্রেনে নতুন নির্মিত LEB কোচ ব্যবহার করা হবে। তবে যে সমস্ত ট্রেন এখনো পর্যন্ত পুরনো ICF কোচ চালাচ্ছে, তাদের গতিবেগ কিন্তু ১১০ কিলোমিটারেই সীমিত থাকছে।
খড়গপুর হাওড়া শাখায় আন্দুল থেকে খড়গপুর পর্যন্ত ট্রেনের গড় গতি বেগ ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি করে ১৩০ কিলোমিটার করা হয়েছে। তবে এবারে খড়গপুর থেকে ভদ্রক এর মধ্যে গড় সর্বাধিক গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার করে দেওয়ার কারণে ১৭৭ কিলোমিটার পথে, অনেকটাই তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে।