আজ পয়লা মে। এক সংগ্রাম। এক আত্মাবলিদানের রক্তিম ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই দিবসটির সাথে। কেটে গেছে বহু শতাব্দী। ঝড়েগেছে অসংখ্য কুঁড়ি। তবু লড়াই আজও অব্যাহত। আমেরিকার মত ধনবান রাষ্ট্রে ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। মৃত্যু গ্রাস করেছিল অসংখ্য দরিদ্র ও হতভাগ্য মানুষদের। এর মূল কারণ ছিল কাজের সময়সীমা।সীমাহীন পরিশ্রম ও স্বল্প বেতনে তাদের জীবন এক নরকে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই দেখে আমেরিকার এ ফ ল সংহস্তা ব্যাপারটিকে খুঁটিয়ে দেখে উপনীত হয়ে এক সিদ্ধান্তে: শ্রমিকদের যোগ্য সন্মান দিতে হবে সরকারকে।ঠিক তার পরের দিন শিকাগো শহরে সহস্রাধিক কর্মী ভাইদের নিয়ে এক প্রতিবাদ সভা ও ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়! উদ্দেশ্য একটাই: আট ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবে না। তাদের সমস্ত দাবী দাওয়া সরকারকে মেনে নিতে হবে!
ওঠে এক তীব্র প্রতিবাদের ঝড়।বক্তা আগস্ট স্পাইস সরকারের পুলিশ বাহিনীকে দেখে পিছ পা নেয়। হেমার্কেটএ সেদিন নিছক অর্থেই দাঙ্গা দানা বাঁধে। এরই মধ্যে একজন বোমা নিক্ষেপ করে, ঘটনা স্থলেই মৃত্যু ঘটে কিছু পুলিশকর্মী ও শ্রমিকদের। ১৮৮৬ সালের আগস্ট মাসে শুরু হয় ট্রায়েল সেশন। বিচারে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড হয় ও বাকি একজনের ১৫বছরের কারাবাস।কিন্তু পরবর্তী সময়ে এক জন আত্মহত্যা করে, চারজনের ফাঁসি হয় ও বাকিদের কারাদন্ড! আত্মাহুতির এমন নজিরবিহীন কাহিনী মুগ্ধ করে এই বিশ্ববাসীকে! ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই বিরল ঘটনার বিবরণ! তাই আসুন আজ তাদেরকে নিজেদের স্বশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আত্মস্থ করি এই জীবনের বীজমন্ত্র।স্বার্থক হয়ে উঠুক অস্তিত্ব রক্ষার এই সংঘর্ষ, এই সংগ্রাম!!
-কুণাল রায়