এবার থেকে আর পানীয় জল নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না মুম্বাইয়ের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনকে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্মিত একটি মেশিনের সাহায্যে এবারে পানীয় জল পেতে পারবেন মুম্বাইয়ের ৬টি রেলস্টেশনের যাত্রীরা। রেলওয়ে এবারে মুম্বাইয়ের ছয়টি রেল স্টেশনে বসাতে চলেছে বাতাস থেকে জল উৎপাদনকারী একটি বিশেষ মেশিন, যার সুবাদে জল নিয়ে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না মুম্বাইয়ের যাত্রীদের। রেল যেমন সারা ভারতে নিজেদের পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি করতে শুরু করেছে তেমনি যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নানারকম যুগোপযোগী অত্যাধুনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে ভারতীয় রেলওয়ে, যার মধ্যে অন্যতম এই বাতাস থেকে জল উৎপাদনকারী মেশিন, যার নাম দেওয়া হয়েছে, মেঘদূত।
আদতে এই মেশিনটির নাম অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ওয়াটার জেনারেশন মেশিন (AWG)। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই মেশিনটি বাতাসে সঞ্চিত জলীয়বাষ্প ব্যবহার করে তৈরি করবে জল। ভারতীয় রেলওয়ে তরফ থেকে এই মেশিনের পোশাকি নাম রাখা হয়েছে মেঘদূত। জলীয় বাষ্প থেকে ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জল তৈরি করে রেলওয়ে স্টেশনে এই জল সরবরাহ করবে এই মেশিন। ভারতের এই উদ্যোগটি এর আগে জাতিসংঘেও প্রশংসিত হয়েছিল।
এই মুহূর্তে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস, দাদর, থানে কুরলা, ঘাটকোপার এবং ভিক্রোলি রেলওয়ে স্টেশনে এই বিশেষ মেশিন বসানো হবে। এই প্রকল্পের জন্য সরকার একটি বেসরকারি সংস্থা মৈত্রী অ্যাকোয়াটেক প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। রেলওয়ে তাদের সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুম্বাই ডিভিশনের জন্য ১৭ টি এই ধরনের মেঘদূত ইন্সটল করার জন্য পাঁচ বছরের একটি চুক্তিপত্রের স্বাক্ষর করেছে মৈত্রী অ্যাকোয়াটেক প্রাইভেট লিমিটেড এর সঙ্গে।
মৈত্রী অ্যকোয়াটেক প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও নবীন মাথুর বলছেন, “এই নতুন প্রযুক্তি পানীয় জলের চিরাচরিত উৎসের উপরে নির্ভর করবে না। এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃতি থেকেই খাবার জল পাওয়া সম্ভব হবে এবং সেটা খুবই সহজে। এছাড়া এখানে জলের অপচয় একেবারেই হবে না। এই কারণেই এটি অত্যন্ত টেকসই একটি প্রযুক্তি। এই ধরনের মেশিনটি স্টেশনে একটি জলের কারখানার মত কাজ করবে। তবে আগামীতে আরো কয়েকটি স্টেশনে এই ধরনের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে রেলওয়ে তরফ থেকে।”