২০২০ সাল থেকেই টলিগঞ্জে লেগে গিয়েছে বসন্তের ছোঁয়া। গত বছর নভেম্বর মাসে বিয়ের সানাই বেজেছে প্রথম অনির্বাণ আর মধুরিমার। এরপর টলিপাড়ায় একের পর এক জুটি দেবলীনা-গৌরব, সৌরভ-ত্বরিতা, মিমি-ওম, ইমন-নীলাঞ্জন, নীল-তৃণা বেশ জাঁকজমক করে সেরে ফেললেন নিজেদের বিয়ে। এবছর এখনো শীত পড়েনি। তবে শীত পড়তেই ফের সুখবর! সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন এবার টলিউডের মিষ্টি গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত।
গানের জগতের সু পরিচিত নাম মেখলা। টেলিদর্শক মেখলার সা রে গা মা পা মঞ্চে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চ হোক বা প্লে-ব্যাক সিঙ্গিং- সর্বত্রই তাঁর কন্ঠস্বরে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। কেরিয়ারে সাফল্য অনেক দিন আগেই পেয়েছেন। এবার নতুন জীবনের পথে পা বাড়াচ্ছেন মেখলা। আসন্ন ডিসেম্বর মাসেই ছতনা তলায় বসবেন গায়িকা মেখলা। এবার প্রশ্ন হল পাত্র কে? পাত্র কি একজন গায়ক? নাকি নায়ক? না কোনোটাই নয়। মেখলার মনের মানুষ গ্ল্যামার জগতের মনের মানুষ নন। গায়িকার মনের মানুষের নাম অর্কপ্রভ চৌধুরী।
এই মুহূর্তে আইআইএম লখনউ থেকে পড়াশোনা করেছেন মেখলার হবু বর পাশাপাশি কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত। বিদেশে কাজের সূত্রে থাকে।। গত আগস্ট মাসেই গায়িকা কর্পোরেট মশাই নিজেদের বিয়ের সম্পর্ককে শিলমোহর দিয়েছিলেন। তবে এদের প্রেম এক দু বছর নয় বরং আট বছর ধরে প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে রয়েছেন মেখলা-অর্কপ্রভ। এবার একধাপ এগিয়ে নিজেদের প্রেমকে বিয়েতে পরিণত করতে চাইছেন।
অর্কপ্রভের হোমটাউন শিলিগুড়ি আর গায়িকা থাকেন কলকাতা। তাহলে দুজনের পরিচয় কিভাবে? এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানিয়েছেন, ‘অর্ক তাঁর এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ডের বন্ধু। সেই সূত্রেই প্রথম আলাপ হয়। গায়িকার বান্ধবীই বন্ধুর জন্য ভালো পাত্র আছে বলে জোর করেই ঠেলে দিয়েছিল। তারপর জুকারবার্গের সাহায্যে অর্ক প্রথম ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। এরপরই দুজনের বন্ধুত্ব আর প্রেম শুরু হয়।
১লা ডিসেম্বর কলকাতায় মেখলা আর অর্কপ্রভ পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে হবে। এরপর কলকাতাতে হবে প্রথম রিসেপশন। পাশাপাশি শিলিগুড়িতে বসবে এই জুটির দ্বিতীয় রিসেপশনের আসর বসবে। বিয়েতে কেমন সাজবেন সেই সাজ এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা করে নিয়েছেন। নিজের বিয়েতে তিনি সাবেকি বাঙালি সাজ নয় বরং , বিয়ে ও রিসেপশনের দুই দিন লেহেঙ্গায় সাজবেন মেখলা। গায়িকা জানান, ‘উদয় দেব তৈরি করেছেন তাঁর বিয়ে কার্ড। আর তাঁদের বিয়েরে আমন্ত্রিতরা কেউ গিফট আনবেননা। শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড রয়েছে অতিথিরা চাইলে বিয়ের দিন তাঁদের সেই কার্ড দিতে পারবেন।