কলকাতানিউজরাজ্য

আরাম কেদারা ছেড়ে সর্বস্তরের কমরেডদের পথে নামার বার্তা দিল আলিমুদ্দিন

Advertisement

কলকাতা : পার্টির কর্মীদের মানসিকতায় মেদ জমেছে। অবিলম্বে মেদ না ঝরাতে পারলে সংগঠন চাঙ্গা হবে না। সরকার থেকে উৎখাতের দশ বছর পার হতে চলল। কিন্তু এখনও গা ছাড়া মনোভাব সর্বস্তরে। তাই এবার কমরেডদের আরাম কেদারা ছেড়ে পথে নামার বার্তা দিল আলিমুদ্দিন।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, দলের উপরতলার কর্তারা জেলা নেতাদের যা বলতে চেয়েছেন, তা সহজ ভাষায় এরকমই, ‘পার্টি অফিসের চেয়ার দখল করে মার্কস-লেনিন নিয়ে তত্ত্বের ফুলঝুরি অনেক শুনলাম। ঘরে বসে মহামারী চর্চাও অনেক হল। এবার পথে নেমে পড়ুন। নয়তো চেয়ার ছেড়ে মানে মানে কেটে পড়ুন।’ সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের স্পষ্ট ফরমান, এখন থেকে সংগঠনে কোনও দায়সারা মনোভাব আর সহ্য করা হবে না। প্রত্যেক পদাধিকারী তথা নেতার মূল্যায়ণ করা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে নেতা হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হবে।

শুধু পার্টি দরদি হয়েই কাটাতে হবে বাকি জীবনটা। কঠিন এই ফতোয়া পার্টি অফিসগুলোয় পৌঁছতেই থরহরিকম্প দশা জেলার নেতাদের।
ভোট প্রাপ্তি নেমে এসেছে ৭ শতাংশে। লোকসভায় সদস্য সংখ্যা শূন্য। রাজ্যসভায় সবেধন নীলমনি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিধানসভায় ছিল ২৬। মেয়াদ শেষে সংখ্যাটা আরও কমেছে। গোটা সাংগঠনিক কাঠামোর প্রতিটি স্তরেই রক্তক্ষরণ অব্যাহত। কমছে সদস্য সংখ্যাও। যে ছাত্র-যুবরা পার্টির ভবিষ্যত, তাঁদের এগিয়ে দিতে অনীহা নেতৃত্বের। কলেবরে ছোট হচ্ছে পার্টি। ফলে প্রয়োজন নেতৃত্বের কাজের মূল্যায়ন প্রয়োজন বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন।

শীর্ষ কমরেডদের যুক্তি, গত বছর পুনর্নবীকরণের সময়ে রাজ্যে পার্টির শাখার সংখ্যা ছিল ১৭,৪৭১। বর্তমানে কমে হয়েছে ১৫,৪২৫। পার্টি সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় শাখার সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। একই হারে কমে গিয়েছে এরিয়া কমিটিও। জেলা কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১২৬১। এরিয়া কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০,৩২৮। এই সংখ্যাকে যদি কাজে আনা যায়, পার্টির গতি নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেই ধারণা বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্রদের। তবে পার্টির মধ্যবর্তী এই নেতৃত্বকে সচল ও সক্রিয় করার দায়িত্ব রাজ্য কমিটিরই।

Related Articles

Back to top button