আজকের দিনে ভারতীয়দের ডায়েটে নতুন একটি জিনিসের সংযোজন হতে শুরু করেছে। এই জিনিসটি হল মাশরুম। মাছ-মাংসের পাশাপাশি, এই জিনিসটি ভারতীয়দের প্লেটে একটা স্থায়ী জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। তবে, এই জিনিসটির দাম কিন্তু অনেকটাই বেশি। তাই যদি আপনি এই জিনিসটি চাষ করে একটা ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে কিন্তু আপনার কাছে একটা দারুন সুযোগ রয়েছে নিজের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো করার। তবে, সব মাশরুম কিন্তু আপনাকে ভালো আয় দেবে এরকমটা নয়, মাশরুমের অনেক জাত রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি লাভজনক জাত হলো মিল্কি মাশরুম। এই মিল্কি মাশরুম যদি আপনি চাষ করেন, তাহলে বেশ ভালো লাভ হয়ে যেতে পারে আপনার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই মাশরুম চাষ করে কিভাবে আপনি লাভ করতে পারেন।
এই মাশরুমের দাম কিন্তু অন্যান্য মাশরুমের থেকে অনেকটাই বেশি। সেই কারণেই এই মাশরুম চাষ করলে আয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। পূর্ব বর্ধমানের কৃষকরা এই চাষ করেই এখন ভালো এই করছেন। মাশরুম চাষি অঞ্জন পাত্র জানান, “প্রথমে খড় কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে সেগুলো গরম জলে সিদ্ধ করে শোধন করে নিতে হবে। তারপর একটা পলিথিনের মধ্যে সেই খড় পেতে দিতে হবে। খড়ের উপর দিতে হবে মাশরুমে বীজ। সেই বীজের উপরে আবার খড় এবং তার উপর আবার বীজ দিতে হবে। এরকম তিন থেকে চারটে লেয়ার করে পলিথিনের মুখ বন্ধ করে, বাইরে থেকে পলিথিনের মধ্যে বেশ কিছু ছিদ্র করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে অঙ্কুর বেরোলে পলিথিনের মুখ খুলে দিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে বেলে মাটি এবং বালির মিশ্রণ। এরপর থেকে প্রত্যেকদিন সেখানে একবার করে জল দিতে হবে। তিনমাস পর থেকেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মাশরুম।”
তিনি আরো বলছেন, প্রতি বস্তা মাশরুম চাষে আপনার খরচ হবে প্রায় নব্বই টাকা। তিন মাস এই মাশরুম যদি আপনি পরিচর্যা করেন, তাহলে আরো ৩০ থেকে ৪০ টাকা মত খরচ হবে। মূলত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই চাষ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত চলে এই চাষ। তিন মাসের মাথায় প্রথম ফলন পাওয়া যায়। প্রতীকী ছবি। ওই চাষী আরো জানাচ্ছেন, “এই মাশরুমের চাষ অনেকটাই কম হয়, তবে চাহিদা আছে। তাই, যদি আপনি এই চাষ করতে পারেন, তাহলে বেশ লাভের জায়গা রয়েছে।”