বিদেশ থেকে শুটিং সেরে বাড়ি ফিরেছেন দিন কয়েক আগে অভিনেত্রী। যতই করোনা আসুক প্রত্যেক বাঙালীর কাছে দুর্গাপুজো খুব আনন্দের সময়। তাই পুজোর সময় ভীষণ সাবধানে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী নিজের আবাসনের পুজোয় সামিল হলেন। পুজোর পঞ্চমী তিথিতে মুক্তি পেয়েছে মিমি-অনির্বাণ অভিনীত ‘ড্রাকুলা স্যার’।
মহাষ্টমীতে কলকাতার কসবায় নিজের আবাসনের পুজোয় অঞ্জলি দিয়েছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সন্ধিপুজোর সময়ও ছিলেন তিনি। করোনা বিধি মেনেই তিনি সারলেন অঞ্জলি। তবে বরাবরই বড্ড সাবধানী তিনি। নবমীর সন্ধ্যায় ধুনুচি নাচ হবেনা তা কি হয়? নিজের আবাসনের পুজোয় ধুনুচি হবেনা তা কখনো হয়। তাই ধুনুচি নাচে মেতে উঠলেন নায়িকা। তবে অবশ্যই সেটা সুরক্ষাবিধি মেনে। মুখে মাস্ক পরেই ধুনুচি নাচ করলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
নবমীর দিন মিমিকে দেখা গেল সাদা কুর্তি ও পালাজোর সাজে। পুজোর প্রতিদিনই আর পাঁচটা মেয়েত মতো পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিলেন সাংসদ। পুজোয় ধুনুচি নাচের পর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে প্রসাদ দিতেও দেখা গেল মিমিকে। কখনও আবার বড় দিদিদের আবাসনে শিশুদের সঙ্গে গল্প করতে দেখা গেল মিমিকে। আবার কখনো নিজের প্রিয় কুকুরের সাথে পোজ দিয়ে ছবি তুললেন নায়িকা। কখনো আবার সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে দেখা গেল তাঁকে। প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনাও করলেন সাংসদ অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত,এবছর পুজোর আগে অপরাজিতার রূপে ধরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। লাল পাড় সাদা শাড়িতে দশভুজার ভিন্ন অবতার। এই বছর ঠিক মহিষাসুরের মতই। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ক্রমাগত পাল্টে চলেছে বাংলার রূপ। এই মহিষাসুরের মত পরিস্থিতিকে বধ করতে যুদ্ধের ময়দানে মিমি। একটি গয়নার বিজ্ঞাপনে এই পণ নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনের প্রশংসায় ভরে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া।