নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না মিঠুন চক্রবর্তী, শালতোড়া রোড শো থেকে জানালেন নিজেই
মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, "বাংলার মানুষের সাথে শুধুমাত্র আমার হিরো ফ্যানের সম্পর্ক না"
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ভোট প্রচার করছে। গেরুয়া শিবির এবারের একুশে নির্বাচনে তাদের শক্তি প্রদর্শন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিন কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় এসে গেরুয়া প্রচারের ঝড় তুলছে। এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী বাঁকুড়ায় গেরুয়া ঝড় তুলতে পৌঁছে গিয়েছে। গত ৭ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বিজেপিতে মিঠুন চক্রবর্তী যোগদান করলেও তাকে প্রার্থী করা হয়নি। বিজেপিতে যোগদান করার পর প্রথমবারের মতো সক্রিয়ভাবে বিজেপি প্রচারে নামলেন তিনি।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বাঁকুড়া শালতোড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। তাকে দেখার জন্য মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি মানুষের ভিড়ের চাপে মিঠুন চক্রবর্তীকে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টারে বসে থাকতে হয়। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় পুলিশ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীকে হেলিকপ্টার থেকে নামতে সুযোগ করে দিতে পারে। বর্তমানে স্টার প্রচারক মহাগুরু স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরির হয়ে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে প্রচার করছেন। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন করছেন। রোড শোতে বিপুল জনসমাগমে প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। জনপ্লাবন প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, “বাংলার মানুষের সাথে শুধুমাত্র আমার হিরো ফ্যানের সম্পর্ক না। বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাই আমি আজ বাংলায় এসেছি। গরিব মানুষের পাওনা আমি ঠিক ফিরিয়ে দেব। এটা আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।”
মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে একটি প্রশ্ন ছিল যে তিনি কি আদেও প্রার্থী হবেন? কাশিপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্রে ভোটার হওয়ার পর সেই জল্পনা আরও গুরুতর হয়েছিল। কিন্তু এখন অব্দি কোন প্রার্থী তালিকায় তার নাম দেখা যায়নি। তাই স্বভাবতই এখনো বিতর্ক রয়ে গেছিল। তবে আজ বাঁকুড়া শালতোড়ার রোড শোতে গিয়ে এই বিতর্কের অবসান ঘটালেন তিনি। তিনি বলেছেন, “না আমি নির্বাচনে দাঁড়াবো না। এখানে চন্দনা বাউরির হয়ে প্রচার করতে এসেছি।”