১৯৮৯ সালে মিঠুনের সঙ্গে ‘গরিবো কা দাতা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ভানুপ্রিয়া। তিনি ৮০-৯০-এর দশকে বলিউডে অনেক তারকাদের সাথে কাজ করেছিলেন এবং পর্দায় তার উজ্জ্বল উপস্থিতির কারণে ভক্তরা এখনও তাকে স্মরণ করে। ভানুপ্রিয়া ৮০ এবং ৯০ এর দশকে চলচ্চিত্রে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার লুকস এবং অভিনয়ের কারণে তাকে বেশ পছন্দ করা হয়েছিল চলচ্চিত্র জগতে। দক্ষিণে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর তিনি বলিউডের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন এবং এখনো পর্যন্ত অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজমুন্দ্রিতে জন্ম নেওয়া ভানুপ্রিয়া ১৭ বছর বয়সে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘মেলা পেসুঙ্গল’ ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায়।
খুব কম মানুষই জানেন যে ভানুপ্রিয়ার আসল নাম মঙ্গা ভামা। তার কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। যখন তিনি স্কুলে পড়তেন, একদিন ভাগ্যরাজ গুরু সেখানে আসেন। তিনি তার চলচ্চিত্রের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন। যে মেয়ে সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি নাচেও পারফেক্ট, সেরকম মেয়ে তিনি খুঁজছিলেন। তিনি ভানুকে পছন্দ করেছিলেন। তবে সেই সময়ে তিনি ভানুকে নিজের ছবিতে কাস্ট করাতে পারেননি। কারণ, সেই সময়ে তিনি সেই চরিত্রের জন্য ছিলেন বয়সে ছোট।
ততদিনে তার স্কুলের বন্ধুদের তিনি বলে দিয়েছেন যে তিনি একটি ফিল্ম করছেন। তবে, যদি সে চরিত্রটি না পায় তবে তাকে মজা করা হবে। এই কারণে বেশ কিছুদিন স্কুলেও যাননি তিনি। তবে, হাল ছাড়েননি তিনি। চলচ্চিত্রে কাজের জন্য নিরন্তর চেষ্টা করতে থাকেন ভানুপ্রীয়া। এরপর একের পর এক ফটোশুট করতে শুরু করেন তিনি। একটা সময় ভারতী রাজগুরু তাকে পছন্দ করেন। তিনি তার ছবিতে তাকে কাজ করার সুযোগ করে দেন। তারপর থেকে আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ভানুপ্রিয়ার বলিউডে অভিষেক হয় ১৯৮৬ সালে ‘দোস্তি দুশমনি’ ছবির মাধ্যমে। ‘ইনসাফ কি পুকার’ (১৯৮৭), ‘খুদগার্জ’ (১৯৮৭), ‘মার মিটেঙ্গে’ (১৯৮৮), ‘তামঞ্চ’ (১৯৮৮), ‘সূর্য’ (অ্যান জাগরণ) (১৯৮৯), ‘দাভ পেঞ্চ’ (১৯৮৯), ‘ গরীবো কা দাতা’ (১৯৮৯), ‘কসম ভারদি কি’ (১৯৮৯), ‘জহরিল’ (১৯৯০) এবং ‘ভাবী’ (১৯৯১) এর মতো অনেক চলচ্চিত্র করেছেন। সে যুগের অনেক বড় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে, ভানুপ্রিয়া এনআরআই ব্যবসায়ী আদর্শ কৌশলকে পছন্দ করতেন। কিন্তু ভানুর বাবা-মা তাদের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে, বিয়ের ৭ বছর পর, ২০০৫ সালে তার স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এখন মেয়েকে নিয়ে চেন্নাই এসে সেটেল হয়েছেন তিনি।