মোদি সরকার এবার অফিস কর্মীদের জন্য কিছু নিয়মের বিপুল পরিবর্তন আনছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুয়িটি ও কর্মীদের কাজের সময়, এই তিন বিষয়ে মোদি সরকার নিয়মের পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তন কর্মী ও কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নতুন নিয়ম মানলে একদিকে যেমন কর্মীদের লাভ হবে ঠিক তেমনভাবেই কোম্পানিগুলি কর্মীদের কাজ করিয়ে আগের তুলনায় লাভের মুখ দেখবে। এমনটাই জানিয়েছে মোদি সরকার। এই নিয়ম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ৭৩ বছরে এরকম নিয়ম লাগু হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাজের সময়ের উপর ভিত্তি করে মোদি সরকার কর্মীদের কাজের টাইম বেঁধে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি কোন কর্মীকে ১২ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। এছাড়া প্রতি ৫ ঘন্টা অন্তর কর্মীকে আধ ঘন্টা বিশ্রাম দেওয়া বাধ্যতামূলক। ৫ ঘন্টার বেশি কোন কর্মীকে একটানা কাজ করানো যাবে না। এছাড়া কোন কর্মীর ওভারটাইম শুরু হয়ে যাবে তার কাজের সময় ১৫ মিনিট অতিক্রান্ত করলেই। আগে কাজের সময়ের ৩০ মিনিট বাদে ওভারটাইম শুরু হত। কিন্তু এখন থেকে মোদি সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কাজের সময়ের অতিরিক্ত ১৫ মিনিট কাজ করলে, ৩০ মিনিটের বেতন দিতে হবে এবার থেকে।
অন্যদিকে, ১ লা এপ্রিল থেকে মোদি সরকারের নতুন নিয়ম কার্যকর হলে কর্মীদের বেতন আগের তুলনায় কমে যেতে পারে। সেই জায়গায় বাড়বে গ্র্যাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। এবার থেকে মোট বেতনের থেকে ৫০ শতাংশের কিছুটা বেশি হবে বেসিক বেতন। বাকিটা জমা হবে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডে। এই পরিমাণ নির্ভর করবে বেসিক বেতনের ওপর। এর ফলে কমে যাবে টেক হোম স্যালারি। কিন্তু প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ড বাড়ায় অবসরের পর কর্মীদের জীবন সুরক্ষিত হবে। মোদি সরকারের নতুন নিয়মে এমনভাবেই স্যালারি স্ট্রাকচার তৈরি করা হবে যাতে কর্মীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। অন্যদিকে, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ড বাড়ায় কোম্পানির কস্ট টু কোম্পানি বেড়ে যাবে। এর ফলে কোম্পানি লাভবান হবে।