নয়াদিল্লি: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই একুশের ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’-এ বাংলার কবি ঋষি অরবিন্দের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের ভোকাল ফর লোকাল-এর পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ‘মন কি বাত’-এর শেষ পর্ব অরবিন্দ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি এমনকি উনিশ শতকের কবি মনমোহন বসুর একটি কবিতা বাংলায় পড়ে শোনান তিনি।
১৮৮৫ সালের জাতীয় কংগ্রেস তৈরি হওয়ার পর ‘দিনের দিন সবে দীন’ এই কবিতার একটি অংশ পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী। তারপর তিনি সেই অংশের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পরাধীনতার সময়ে সুচ, সুতো, দেশলাই কাঠি আসত বিদেশ থেকে। কোনও কিছুতেই স্বাধীনতা ছিল না।’ এরপরই ভোকাল ফর লোকাল-এর স্বপক্ষে মোদি বলেন, ‘বিদেশি দ্রব্য বর্জন করা মানে বিদেশের যা কিছু ভাল, তা বর্জন করা নয়। কিন্তু দেশের মাটিতে যা তৈরি সম্ভব, তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ভারতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার ডাক বাংলার মনীষীরা দিয়েছিলেন। সেটাই মনে রেখে বাংলার পাশাপাশি এ দেশকে বিশ্বের দরবারে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে নিয়ে যেতে চাই।’ এভাবেই বাংলার মনীষীদের কথা ‘মন কি বাত’-এ আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ ডিসেম্বর ঋষি অরবিন্দ ঘোষের প্রয়াণদিবস। সে কথা মাথায় রেখেই রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ঋষি অরবিন্দের কথা মনে করিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি এটাও বোঝাতে চেয়েছেন বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর দল বিজেপি আষ্টেপৃষ্ঠে সম্পৃক্ত রয়েছে। তাই বাংলা যেন বিজেপিকে দূরের না ভাবে। সে কারণেই এদিন বাংলা এবং তার সংস্কৃতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নমো। একুশের ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই বাংলা আবেগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।