রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিল-এর উপকারিতা বোঝালেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশবাসীর উদ্দেশে বলে দিলেন, ”আপনারা এবার গল্প বলা শুরু করুন। আমাদের দেশে গল্প বলার সংস্কৃতি বহু পুরনো। কিন্তু এই সংস্কৃতি প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর সময় কৃষকরা দেশকে শক্তি জুগিয়েছে। যে কোনো কঠিন সময়ে কৃষকদের জন্য দেশের প্রগতির চাকা ঘুরতে থাকে।
কৃষকরাই আমাদের দেশের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মূল আধার”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন, এই বিল আসলে কৃষকদের জন্য সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে কোনোকিছুই বাদ যায়নি। রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, বিরোধীদের রাজ্য সভা ত্যাগ সবই চলছে।
কিছু দিন আগে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ”আজ দেশের কৃষি ইতিহাসে যুগান্তকারী দিন। সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিলটি পাশ হওয়ার পর পরিশ্রমী অন্নদাতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে আমূল বদলই আনবে না, বরং কোটি কোটি কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে।” দু দিন আগেই কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানাতে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে ধর্মঘট ও দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাবের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলো সারা ভারত কিষাণ মহাসভা। কৃষি বিল নিয়ে বর্তমানে ভারতের টাল মাটাল অবস্থা। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ। সব মিলিয়ে এখন হাড্ডাহাড্ডি চলছে দুপক্ষতে।কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিরোধী আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি বিল নিয়ে যা যা হয়েছে তা কারোরই অজানা নয়।