রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের মতে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদের মাধ্যমে কিছু মানুষ স্বার্থ লাভের রাস্তা খোঁজে। মুসলিম হিন্দু দ্বন্দ কোন নতুন বিষয় নয়। এর আগেও বহু বার এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার অশান্তি হয়েছে।
আরএসএস প্রধান এদিন বলেন, ”মহারানা প্রতাপের সৈন্য দলে অনেক মুসলিম সেনা ছিল। তারা মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়েছে। এটাই আমাদের ভারতবর্ষ। আমাদের দেশের নাম উচ্চারিত হলে সংহতির কথাই আসে সবার আগে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদ করে কিছু মানুষ। তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য।”
হিন্দু মুসলমান সমস্যা নতুন করে প্রকট হওয়ার অনেক গুলি কারণের মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হল এনআরসি এবং সিএএ। গত বছর এই বিল নিয়ে বিবাদ এমন চরমে ওঠে যে ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়রা প্রায় নিজেদের সংখ্যালঘু বলে মনে করতে শুরু করে। দফায় দফায় আন্দোলন অশান্তি এতোটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়ে পৌছায়। সেই নিয়ে অনেক মানুষের ক্ষতি এবং সরকারি সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছে, একথা কারো অজানা নয়।
মোহন ভাগবত আরও বলেন, ”আমাদের দেশের সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে এখানে মুসলিমদের কোনও জায়গা নেই। কোথাও বলা নেই যে এদেশে থাকতে হলে হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নিতে হবে। যখনই দেশের সংস্কৃতির উপর আক্রমণ হয়েছে এদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তা সে হিন্দু হোক বা মুসলমান। এটাই আমাদের দেশ। আপনারা পাকিস্তানে দেখুন। সেখনে সংখ্যা লঘু হিন্দুদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ভারতে মুসলিমরা সুখে রয়েছে।”