খেলার শুরুটা ভালোই করেছিলো সবুজ মেরুন ব্রিগেড তখন কেই বা জানতো এই ম্যাচ মাঠে রেখে আসবে তারা। যতো সময় এগোলো ততো মোহন মাঝমাঠ ক্রমশই হারিয়ে গেলো যার সুবাদে থ্রু বল পেয়ে জোসেফের সোলো রান এবং বক্স এর মধ্যে জোসেফ কে ফাউল করে দেবজিৎ ফলস্বরূপ পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গেলো গোকুলাম। এরপর মোহন ডিফেন্স গোল করতে মরিয়া হয়ে উপরে উঠে এলে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান ২-০ করে দেয় সেই মার্কস জোসেফ। খেলার শেষের দিকে বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে হেড করে ২-১ করে দেয় সালভা চামোরা কিন্তু ততোক্ষণে ম্যাচ পকেটে চলে আসে গোকুলামের।
একদম অন্তিম লগ্নে সুবর্ণ সুযোগ হারান সালভা চামোরা নাহলে ম্যাচ এর ফলাফল কিন্তু অন্য হতেই পারতো। সব মিলিয়ে সান্তিয়াগো ভালেরার ছেলেরা কলকাতায় এসে দুই বড়োদল কে পরাস্ত করে ট্রফি নিয়ে উড়ে গেলো কেরালায় শেষ কবে বাংলা ফুটবলে এমন দিন এসেছে তা বলা কঠিন। ১৩১ বছর পুরোনো এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন টুর্নামেন্ট এর প্রথম বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে কেরালা ফুটবলে সুবর্ণ দিন ফিরিয়ে আনলেন উবেদ রা। টুর্নামেন্ট এর সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন ৫ ম্যাচে ১১ গোল যার মধ্যে দুটি হ্যাট্রিক করা গোকুলামের ত্রিনিদাদি স্ট্রাইকার জোসেফ মার্কাস।