শ্রেয়া চ্যাটার্জি – হিন্দু দেব-দেবীদের মধ্যেই সর্বশক্তিমান দেব হলেন মহাদেব অর্থাৎ শিব। তবে সে যতই হিন্দু দেব-দেবীদের মহাদেব হন না কেন শিবের আগমন অনেক প্রাচীনকালে। হরপ্পা সভ্যতার অনেক লিঙ্গ পাওয়া যায়। তবে সেই লিঙ্গ গুলি কে তারা শিবের লিঙ্গ হিসেবে পুজো করতেন কিনা এই বিষয়ে কোন রকম স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়না। হরপ্পা সভ্যতা থেকে একটি বলিষ্ঠ পুরুষের মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল যার চারপাশ ঘিরে রয়েছে বন্য জন্তুরা। কেউ কেউ একে ‘পশুপতি শিব’ বলেছেন। তবে অনেকেই একে ‘শিব’ বলতে নারাজ কারণ ‘শিব’ হলেন গৃহস্থালির দেবতা। তার চারপাশে কেন বন্য জীবজন্তু থাকবে? তবে একথা নিশ্চিত যে লিঙ্গ-পুজা অনেক আগে থেকেই ভারতে শুরু হয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অনেকেই সোমবার শিব পূজা করে থাকেন। তাছাড়াও শিবরাত্রি, নীলষষ্ঠী প্রভৃতি অনুষ্ঠানে শিবের থানগুলিতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। কিংবা গোটা শ্রাবণ মাস ধরে চলতে থাকে বাবার থানের জল ঢালার পালা। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিদেশেও যে সমস্ত প্রবাসী বাঙালিরা আছেন তারাও নিষ্ঠাভরে পূজো করেন।
শিব পুজো করার জন্য একটি ছোট ঘটিতে স্নান করানোর জল রাখবেন। তাছাড়াও একটি থালা, একটি গ্লাস এবং কোশাকুশি রাখবেন। সাদা চন্দন, আতপ চাল, ফুল, দুটি বেলপাতা, ধূপ ধুনো ইত্যাদি জ্বালিয়ে পুজো করতে বসবেন। নৈবেদ্য এবং পানীয় জল রাখবেন। সাদা চন্দন, ফুল-বেলপাতা, ধূপ, ধুনো এক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয়। উত্তর দিক যেহেতু ব্রহ্মলোক পথ, তাই সর্বদা উত্তর দিকে মুখ করে বসে পুজো করবেন এবং লিঙ্গ কেও উত্তরমুখী রাখবেন।
বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে একমাত্র শিবই পারেন আমাদের এই পৃথিবী কে রক্ষা করতে। তিনি সর্বশক্তিমান। আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের উপরে যেন মহাদেবের দৃষ্টি পড়ে। তিনি যেন তার সর্বশক্তি দিয়ে পৃথিবী কে রক্ষা করেন। গোটা পৃথিবী করোনা আতঙ্কে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা প্রত্যেকেই রয়েছি মহাদেবের ভরসায়। তিনি আমাদের পরিত্রাতা।