নয়াদিল্লি: আজ, শনিবার থেকে আরও ৮০টি স্পেশাল ট্রেন চালাতে চলেছে রেলমন্ত্রক। দীর্ঘ লকডাউনের পর ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরার উদ্যেশ্যে শ্রমিক স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা চালু করে রেল। এছাড়া স্বাভাবিক লোকাল ট্রেন পরিষেবা কার্যত এখনও স্তব্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে রেল যোগাযোগ থমকে রয়েছে। শুধুমাত্র শ্রমিক স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং কিছু দূরপাল্লার ট্রেন চালাচ্ছে রেল। আর এবার তাতে সংযুক্ত হল আরও ৮০টি স্পেশাল ট্রেন। যার মধ্যে ছ’টি স্পেশাল ট্রেন পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
রেলের সাধারণ টাইমটেবিল মেনে ট্রেন চলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে টাইমটেবিল মেনে সব স্টপেজে ট্রেনগুলি থামবে না। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই কোন স্টপেজে ট্রেন থামবে তা সিদ্ধান্ত নেবে রেল। শুক্রবার থেকে এই ট্রেনগুলি চালানোর জন্য তৎপরতার সঙ্গে রেলকর্মীরা স্টেশন চত্বরে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করে দেয়। এমনকি এদিন থেকেই তৎকালে টিকিট বুকিং শুরু হয়ে যায়।
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব আগেই জানিয়েছিলেন যে, এই ট্রেনগুলির লম্বা ওয়েটিং লিস্ট থাকায়, যাত্রীদের চাহিদা মেনে এই রুটগুলিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের যে ছ’টি ট্রেন দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, দুটি ট্রেন ছাড়বে হাওড়া থেকে, একটি ছাড়বে লালগড় থেকে। হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি এক্সপ্রেস (বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। তিরুচিরাপল্লি-হাওড়া এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার ও শুক্রবার)। হাওড়া-ইন্দোর এক্সপ্রেস (সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। ইন্দোর-হাওড়া এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। লালগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস (রোজ)। ডিব্রুগড়-লালগড় এক্সপ্রেস (রোজ)।
জানা গিয়েছে, যেসব যাত্রী ট্রেনে উঠবে তাদের আগে থেকে মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে হবে। স্টেশনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বেশ কিছুটা আগেই যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিলেই যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন।