৫০ হাজারেরও কম দামে মিলবে এই বড় চাকার ই-বাইক, একবার চার্জ দিলেই চলবে ১২০ কিমি
বর্তমানের কর্মব্যস্ত যুগে দু’চাকার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে দিন দিন। নিজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ও সময় বাঁচাতে বাড়ছে দু’চাকার চাহিদাও। বর্তমানে বড় বড় গাড়ির সংস্থাগুলিও দু’চাকার চাহিদা দেখে নতুন করে বানাচ্ছেন দু’চাকার মডেল। তবে এক্ষেত্রেও একটি বড় ব্যাপার রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে চালকরা ডিজেল ও পেট্রলের বদলে ই-বাইক কিনতেই বেশি আগ্রহী থাকছেন। এবার সেই চাহিদাকে মাথায় রেখেই বাজারে এল মোটোভোল্ড আরবান ই-বাইক। উল্লেখ্য, এই ই-বাইক মসৃণ ও রুক্ষ দুই রাস্তাতেই সমান দক্ষতা প্রদান করবে চালককে।
মোটোভোল্ট আরবান ই-বাইক ৩৬ ভি/ ২০ এএইচ ব্যাটারি সহযোগে পাওয়া যাচ্ছে। চার ঘন্টাতেই এর ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। পুরো চার্জ হয়ে যাওয়ার পর এই বাইক ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতি দেয়। উল্লেখ্য, এই বাইকে উচ্চগতি সম্পন্ন বিএলডিসি মোটর রয়েছে। এই বাইকের মোট ওজন ৪০ কেজি, যার ফলস্বরূপ রাস্তায় চালাতেও সুবিধা হয় চালকদের। এই বাইকে এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্মার্টফোন সংযোগের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে এই ই-বাইকে। এই গাড়ির সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে ডুয়াল শখ সাসপেনশনের সুবিধা রয়েছে।
এই ই-বাইকের চাকা অন্যদের তুলনায় তুলনামূলক বড়। এই বাইককে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই চাকার মাপ প্রায় ২০ ইঞ্চি থাকে। উল্লেখ্য, ‘মোটোভোল্ট বাউন্স ইনফিনিটি ই ১’ বাজারে ‘হিরো ইলেকট্রিক অপটিমা ৬’কে রীতিমতো টেক্কা দেয়।
মোটোভোল্ট আরবান ই-বাইক লাইসেন্স কিংবা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই চালানো যাবে। অবশ্য সেই নিয়ম ১৬-১৮ বছর বয়সীদের জন্য, তার উর্ধ্বে লাইসেন্স আবশ্যক। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী ভারতে ১৬-১৮ বছর বয়সীরা এই ই-বাইক চালাতে পারে লাইসেন্স ছাড়াই। এই বাইকের বাজার মূল্য ৪৯,৯৯৯ টাকা। বাজারে এটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে মিলবে। এক্ষেত্রে পাঁচটি রঙের মধ্যেই এই গাড়ি পেয়ে যাবেন চালকরা।