কৌশিক পোল্ল্যে: গত বুধবারে ঘটে যাওয়া মহাপ্রলয়ের স্মৃতি মন থেকে মুঁছে ফেলতে পারছেন না বঙ্গবাসী। দশকের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ সর্বত্র ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেল বাংলার শস্যশ্যামল বুকে, যার সাক্ষী থাকল সাধারন মানুষ। এই প্রথম কোনো ঘূর্ণিঝড় উপকূলবর্তী এলাকা বাদে সরাসরি রাজ্যের অন্দরে ঢুকে বড়সড় ক্ষতি করে দিয়ে গেল। ভীতসন্ত্রস্ত উপকূলবাসীদের মাথার ছাদটুকুও ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। করোনা আবহের মধ্যেই এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বাংলার বুকে ক্ষতচিহ্ন হয়ে রইল বলা চলে।
গতকালই আকাশপথে প্রধানমন্ত্রীসহ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এদিনই যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় কবলিত বারুইপুর, সোনারপুর সহ অন্যান্য ‘আমফান’এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহল হয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন তিনি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই মর্মে গতকাল রাতে সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ নিজ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অভিনেত্রী বাংলার সকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের সকল প্রকার সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী তাদের ঘরোয়া সাংসদের এই উদ্যোগে ভীষন খুশি। নেটিজেনরাও মিমির কর্মোদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য রাজ্যের ক্ষতক্ষতির পরিমান সরজমিনে খতিয়ে দেখতেই তড়িঘড়ি ছুটে এলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকলেই বাংলার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সামাল দিতে এগিয়ে এসেছেন। প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকেও এসেছে সাহায্যের আশ্বাস। আশার সূর্য ধীরে ধীরে উঁকি দিচ্ছে বাংলার ভাগ্যাকাশে।