এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে ধনী পরিবার হলো আম্বানি পরিবার। সারা বিশ্বের মানুষ এই মুহূর্তে আম্বানি পরিবারের সদস্যদের চেনেন। আম্বানি পরিবারের ব্যাপারে বলতে গেলে, এই পরিবারের কাছে এতটাই সম্পদ রয়েছে যে তারা যে কোনো দামি জিনিস কিনতে পারেন এবং অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন। সারা দুনিয়ার যেকোন জিনিস তারা নিজেদের টাকায় কিনতে পারে। তবে, আজকের দিনে আম্বানি পরিবারের কাছে যত ধন সম্পদ রয়েছে তা সবই কিন্তু মুকেশ আম্বানির জন্য। মুকেশ আম্বানি এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে সফল ব্যবসায়ী এবং এই কারণে তার পরিবারের কাছে এতটা সম্পত্তি রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র যে মুকেশ আম্বানি নিজে এত ধনী সেরকম কিন্তু না। তার জামাইও প্রচুর সম্পত্তির মালিক। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যন্ত ট্রেন্ডিং রয়েছেন শুধুমাত্র নিজের সম্পত্তির জন্য না, বরং তার জামাইয়ের সম্পত্তির জন্যও। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মুকেশ আম্বানির জামাইয়ের ধনসম্পত্তি কিন্তু মুখের সাথে কে খুব একটা কম নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তিনিও একজন রাজার মতো জীবন যাপন করেন। আর মুকেশ আম্বানির কন্যা ইশা আম্বানি তার শ্বশুরবাড়িতে থাকেন একেবারে রানীর মত।
মুকেশ আম্বানি এই মুহূর্তে ইশা আম্বানির স্বামী অর্থাৎ তার জামাই আনন্দ পিরামলের সম্পত্তির জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। আনন্দ পিরামল ভারতের অন্যতম বড় একজন ব্যবসায়ী এবং তিনিও কিন্তু তার শ্বশুরমশাই আম্বানির থেকে খুব একটা কম যান না। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইশা আম্বানি এবং আনন্দ পিরামলের বিয়ে হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর ২০১২ সালে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি নিজের মেয়ের বিয়েতে ৭৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি খরচ করেছিলেন। আনন্দ পিরামাল ভারতের অন্যতম বড় একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি সবসময় নিজেকে মুকেশ আম্বানির যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন।
তবে তাদের দুজনের ব্যবসা ক্ষেত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা তাই তাদের মধ্যে কোন দিন রেষারেষি হয় না। বিয়ের পর থেকে কখনোই ইশা আম্বানিকে কোন কিছুর অভাব হতে দেননি তার স্বামী। নিজের রাজমহলে রীতিমতো রানীর মত থাকেন ইশা আম্বানি। আম্বানি পরিবারের অন্যান্যদের মত ইশাও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।