Money Making Formula: ৫ লাখ টাকা কতদিনে ১৫ লাখ হবে? এই ফর্মুলায় ফেললে সহজেই বুঝে যাবেন পুরো হিসাব
বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ড খুবই জনপ্রিয় একটা বিনিয়োগের জায়গা হয়ে উঠেছে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে
বর্তমানে ভারতে মিউচুয়াল ফান্ড খুবই জনপ্রিয় একটা বিনিয়োগের জায়গা হয়ে উঠেছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে যেরকম আপনি বিনিয়োগ করে লাভ পেতে পারেন, একই সাথে কিন্তু ঝুঁকি রয়েছে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ড সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত, ফলে মোটা লাভ যেমন হতে পারে, তেমনি লোকসান হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কম্পাউন্ডিং এমন একটা বিষয়, যা আপনাকে একেবারে ফকির থেকে রাজা করে দিতে পারে। তবে একদিনেই কিন্তু এটা হবে না। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন এবং দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে কম্পাউন্ডিং এর আসল ম্যাজিক আপনি বুঝতে পারবেন। এর সাথে আরো একটা জিনিস আপনার প্রয়োজন, সেটা হলো নিয়মিত বিনিয়োগ শৃঙ্খল। সোজা কথায় আপনাকে বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে যদি আপনি ভালো লাভ করতে চান।
মিউচুয়াল ফান্ডে লাভ করার সবথেকে বড় কারণ হলো ভালো রিটার্নের হার। আপনি যদি দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়ে যাবেন, যা যেকোনো ফিক্স ডিপোজিটের থেকে অনেক বেশি। খুব কম হলেও আপনি ১০ শতাংশ রিটার্ন পেয়ে যাবেন। সোজা কথা স্মল সেভিংস স্কিমের থেকে অনেক বেশি লাভ আপনি পাবেন। ফলে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের নিরাপত্তা ছেড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে এখন বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী। আর এখানেই কিন্তু কম্পাউন্ডিং এর সুবিধা আপনারা পেয়ে যাবেন। স্মল সেভিংস স্কিমের থেকেও বেশি সুবিধা দেবে আপনাকে এই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড।
তবে বিনিয়োগ করলেই তো আর হয়ে যাবে না, বিনিয়োগের টাকা কত দিনে তিন গুণ হচ্ছে সেটাও তো আপনাকে আগে থেকে হিসাব রাখতে হবে। এর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ রুল হল রুল অফ ১১৪। বিষয়টা সহজে গণনা করা যেতে পারে। মাসে আপনি যদি ২৫ হাজার, ৪০ হাজার বা ৫০ হাজার টাকা আয় করেন, তবে কম্পাউন্ডিং করে আপনি খুব সহজে মোটা করপাস জমা করতে পারবেন। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনি আপনার মাসিক আয় এর দশ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারেন এবং এর সঙ্গে প্রতিবছর বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে অবসর নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। খুব সহজে মোটা টাকার মালিক হতে পারবেন আপনি।
রুল অফ ১১৪ অনুযায়ী কতদিনে তিনগুণ হবে টাকা? এটা বোঝার সবথেকে সহজ উপায় হল রিটার্নের উপর ভিত্তি করে গণনা করা। এর ফর্মুলাটি হল ১১৪/প্রত্যাশিত রিটার্নের হার = তিনগুণ হওয়ার বছর। ধরে নেওয়া যাক কোন বিনিয়োগ থেকে বার্ষিক ১০ শতাংশ করে আপনি রিটার্ন পেয়ে যাচ্ছেন। এখন সেই প্রকল্পে যদি কোন ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে কত বছরে তার টাকা তিন গুণ হবে? ফর্মুলা অনুযায়ী হিসাব করলে ১১৪/১০ অর্থাৎ ১১.৪ বছরে তার টাকা তিনগুণ হবে। অর্থাৎ, সেই ব্যক্তিকে যদি নিজের টাকা তিনগুণ করতে হয় তাহলে তাকে মোটামুটি ১১ বছর ৫ মাস অপেক্ষা করতে হবে।