প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা জমিয়ে পেয়ে যান ২.৭৫ কোটি টাকা, দেখুন কোথায় করতে হবে বিনিয়োগ
এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে একটি দারুন ফান্ড তুলে নিতে পারবেন
বর্তমানে সাধারণ মানুষ সঞ্চয় নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা সবসময় নিজেদের টাকা সঠিক জায়গায় সঞ্চয় করতে উদ্যোগী। এই টাকা সঞ্চয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যতকে আরো বেশি সুরক্ষিত করতে চান তারা। কিন্তু, সবসময় সব বিনিয়োগ আপনাকে ভালো রিটার্ন দিতে পারে না। বিশেষ করে এই সমস্যা হয় একটু বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। তখন বোঝা যায়না কোথায় বিনিয়োগ করবো। ফিক্সড ডিপোজিট ভালো নাকি মিউচ্যুয়াল ফান্ড নাকি সোজা শেয়ার বাজার। আজকে সেরকম একটি বিনিয়োগের জায়গা বা মাধ্যম নিয়েই হবে আলোচনা। আজকের দিনে এই বিনিয়োগের মাধ্যমটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এই বিনিয়োগ মাধ্যমটা হলো মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
আপনি প্রায়ই সবাইকে বলতে শুনেছেন যে তারা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে ভাল রিটার্ন পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন জাগে যে আপনি কি মিউচুয়াল ফান্ডের সাহায্যে ভবিষ্যতের জন্য বিশাল তহবিল তৈরি করতে পারেন? অবশ্যই, আপনি এটি করতে পারেন তবে এর জন্য আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা সহ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে ইক্যুইটি মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা একটি লাভজনক বিষয় এবং স্ট্যাটিসটিক্স দেখলেও এটা প্রমাণিত হয়। আপনি মাসে ৫,০০০ টাকা সঞ্চয় করে দীর্ঘ মেয়াদে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ২.৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে SIP করতে হবে। তাহলে, চলুন জেনে নিই কিভাবে?
দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড ইন ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে উপলব্ধ এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুসারে, এসআইপিতে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি বছর ১৪% সম্ভাব্য রিটার্নের ভিত্তিতে ৩০ বছর পর আপনাকে ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া হবে, যেখানে এই সময়ের মধ্যে আপনি মাত্র ১৮ লাখ টাকা জমা দেবেন। যাইহোক, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি সম্ভাব্য রিটার্ন, কারণ এটি বাজারের ঝুঁকির বিষয়। বাজার যদি নিচের দিকে যায়, তাহলে আপনার বিশাল ক্ষতি হতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাজারের ঝুঁকির সাপেক্ষে তাই বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নিতে হবে।