“মালদহ বিস্ফোরণের সাথে বোমার যোগাযোগ নেই”, রাজ্যপাল ও বিজেপিকে পাল্টা জবাব নবান্নের

গত বৃহস্পতিবার মালদহ এক ভয়াবহ বিস্ফোরনের সাক্ষী হয়ে থাকল। ওদিন সকালে এগারোটা নাগাদ মালদহের সুজাপুরে এক প্লাস্টিক কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। এছাড়াও আরও ১ জন হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মারা যান। এছাড়াও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জন ভর্তি হয়েছিল।

এই মালদা বিস্ফোরণ কান্ডের কারণে ফের শাসক দলকে তুলোধোনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করেছিলেন যে “রাজ্যে বোমা তৈরীর কারখানা গুলি এবার বন্ধ করুন।” তিনি টুইটে আরো বলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস যখন থেকে রাজ্যে শাসনভার নিয়েছে তখন থেকেই জেলায় জেলায় চলছে বোমা তৈরীর কারখানা। যত্রতত্র গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ হচ্ছে। বাংলা বোমা ও বন্দুকের কারখানায় পরিণত হয়েছে। আর মমতার রাজ্যের প্রশাসন এইসব ব্যাপার খতিয়ে না দেখে বিজেপির কার্যকলাপ আটকাতে ব্যস্ত রয়েছে। এই ব্যাপারে তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল।

http://twitter.com/jdhankhar1/status/1329354034667421698?s=19

 

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে আছে জঙ্গিযোগ। ভোটের আগে রাজ্যে চরম অরাজকতা চলছে। শাসকদল ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে জেলায় জেলায়। উগ্রপন্থীতে ভরে গেছে বাংলা। আর সেই সব দিক খেয়াল না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কর্মসূচি আটকানোর দিকে নজর দিচ্ছে। এছাড়াও তিনি মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন অবস্থার কথা বর্ণনা করেছেন।

অবশ্য রাজ্য সরকার রাজ্যপাল ও বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। নবান্নের তরফে স্পষ্টতই টুইটে জানানো হয়েছে যে সুজাপুরের কারখানায় উৎপাদন সংক্রান্ত যন্ত্রের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। এর সাথে বোমার কোনো যোগাযোগ নেই। ওটি প্লাস্টিক কারখানা ছিল কোন বোমা কারখানা না। ঘটনার পরই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী নবান্ন একথা জানিয়েছে।