রাজ্যনিউজ

পরিষেবা দিতে ১ দিন দেরি নয়, সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি মমতার

নবান্ন সূত্রে খবর, যদি পরিষেবা দিতে কোনভাবে দেরি করেন সরকারি কর্মচারীরা, তাহলে তাদের বেতন থেকে টাকা কাটবে সরকার

Advertisement

সরকারি কর্মীরা যদি কোনভাবে কাজে ফাঁকি দেন তাহলে সেটা কোনভাবেই আর বরদাস্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এক প্রস্থ কথা কাটাকাটির পরে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের তিনি এই বিষয়ে একটা কড়া নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, সার্ভিস রুল যেরকম রয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে রাজ্যের প্রত্যেকটি কর্মচারীকে। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত পরিষেবা সমস্ত মানুষকে দিতে হবে। আর সেরকমটা না হলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে টাকা কাটবে রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই শীর্ষ আমলাদের নিয়ে এই বৈঠক করে ফেলেছেন। যদি সরকারি কর্মচারীরা পরিষেবা দিতে একদিনও দেরি করেন বা কোন সরকারি পরিষেবা পেতে মানুষের দেরি হয়, তাহলেই ওই কর্মীর বেতন থেকে ২৫০ টাকা কেটে নেবে সরকার। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর ছিল। তবে এবার থেকে তা আরো কঠোরভাবে কার্যকর করবে সরকার। তবে এই রকম কড়াকড়ি এর আগে যদিও রাজ্য সরকার কোনদিন করেনি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত আন্দোলনের যে এই রাজ্য সরকারের এরকম আচরণ।

তিন দিন আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যদি কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতা না পাওয়া যায় তাহলে তারা লাগাতার আন্দোলন করবেন এবং কর্মবিরতি শুরু করবেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই হুঁশিয়ারির কোন জবাব দেননি, কিন্তু ঘটনাচক্রে তারপরে এই প্রশাসনিক বৈঠকে এই কড়া নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আন্দোলনকারী ওই সরকারি কর্মচারীদের হুমকি শুনে রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য এই মাসে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে সরকার। তারপরেও এরকম ভাবে আন্দোলন চলছে দেখে রাজ্য সরকারের এই বিরূপ মনোভাব বলেই মনে করছেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, সরকারের যে আর্থিক সমস্যা রয়েছে সেটা মুখ্যমন্ত্রী ভালো করেই জানেন। তবুও সরকারি কর্মচারীদের কথা ভেবে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এরকম হুমকি এবং হুঁশিয়ারি দেওয়াটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।

Related Articles

Back to top button