৩৪ বছর বাম শাসনের শেষ পর্বে বারবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। এক সময় সন্ত্রাস ও নন্দীগ্রাম যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিল। সেই নন্দীগ্রামে শান্তি ফিরেছিল পরিবর্তনের হাত ধরে। পরিবর্তন ও নন্দীগ্রাম একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিল। নন্দীগ্রাম থেকেই উত্থান হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে গুরুত্ব পেয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক বলে পরিচিত নন্দীগ্রাম।
পরিবর্তনের এত বছর আবারও সংবাদের শিরোনামে উঠে এল নন্দীগ্রাম। বিজেপির মিছিলকে ঘিরে অশান্তি ছড়ালো এলাকায়। পুলিশ বিজেপির পূর্ব নির্ধারিত মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মনে।
আরও পড়ুন : ‘এখানে কাওয়ালি চলবে না’ যোগী রাজ্যে বন্ধ হল কাওয়ালি নাচ
বিজেপি সূত্রে খবর, আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ব্লকে মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই পুলিশ তা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। আটকে দেওয়া হয় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িও। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাধারণ বিজেপি কর্মীরা। শুরু হয় পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই মিছিল করতে চেয়েছিল বিজেপি। তাই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ১৫ দিন আগেই মিছিল করার অনুমতি নেওয়া হয়। আসলে, উর্দি গায়ে তৃণমূলের হয়ে রাজনীতি করছে পুলিশ। তাই আটকানোর চেষ্টা করেছে।
Witness the dismal state of democracy in Paschim Banga…
The police is pulling the collar of the district president and is busy with lathi charge on our party members in order stop a peaceful procession at Nandigram.#WeSupportCAA pic.twitter.com/XMRizmx5Ab— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) January 18, 2020