মোদী সরকারের তৃতীয় সফরে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে নেওয়া পদক্ষেপগুলোতে বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণ এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণদের জন্য আয়ের শর্ত ছাড়াই ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা চালু করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের কারণে আর্থিক সংকটে পড়া পরিবারগুলিকে সহায়তা করবে। এটা সরাসরি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিবেশ উন্নয়নে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে সরকার। পাশাপাশি, ২০০৩ সালের পরে নিয়োগকৃত সরকারি কর্মীদের জন্য ইউনিফাইড পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে, যেখানে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন হিসেবে দেওয়া হবে। আগের পুরোনো পেনসন স্কিম বাতিল করে এই নতুন পেনশন স্কিম চালিয়ে বড় একটা পদক্ষেপ নিলো সরকার।
পাশাপাশি, সরকারের আবাসন খাতে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY)-এর অধীনে ৩০ মিলিয়ন নতুন ঘর নির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদ্যোগটির লক্ষ্য দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদের জন্য টেকসই বাসস্থান নিশ্চিত করা। শহর ও গ্রামাঞ্চলে ৩ কোটি ঘর নির্মাণে ৫.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা সমাজের দুর্বল শ্রেণীগুলিকে মৌলিক সুবিধা প্রদান করবে।
পেনশন পুনর্গঠন এবং পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে না আনার সিদ্ধান্ত সরকারের আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই স্কিমগুলির মাধ্যমে সরকার বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে বিশেষ প্রণোদনা স্কিম চালুর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপগুলো দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবনে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।