রাজ্যে উপস্থিত থাকতে পারবেন না কিন্তু শুক্রবার ভার্চুয়াল ভাবে দিল্লি থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোট গণনার সময় জানা গিয়েছিল ২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রচার করতে আসার কথা ছিল বাংলার চারটি জেলায়। সেখানে সর্বমোট ৫৬ সভা করার কথা ছিল তার। কিন্তু, বৃহস্পতিবার বিকেলে টুইট করে মোদি নিজেই জানিয়েছেন দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই জন্যই বাংলার সফর বাতিল করতে হয়েছে তাকে। তারপর সন্ধ্যায় ৫.৪৫ নাগাদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার বিকেলে ৫টা নাগাদ দিল্লি থেকে ভাষণ দিতে চলেছেন।
কলকাতা ছাড়াও মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল জনসভায় সর্বাধিক জনসংখ্যা ৫০০ এর বেশি থাকবে না। সপ্তম ও অষ্টম দফায় রাজ্যের ৭১ আসন নির্বাচন হওয়ার কথা। এছাড়াও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে প্রার্থী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন হবে আগামী ১৬ মে। ফলে হিসাবমতো শেষ দুই দফায় ৬৯ আসনে নির্বাচন।
সেইমতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার কথা ছিল ৪ জেলার ৫৬ আসনে প্রচার করতে। সেই মত তৈরী হয়ে গিয়েছিল সমস্ত সভাস্থল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা সফর বাতিল করার কারণে তড়িঘড়ি সেই এলাকায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা শুরু করে জেলা বিজেপি কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে সেই জায়েন্ট স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে শুক্রবার। রাজ্যের ৫৬ আসনের জন্য একটি বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রত্যেকটি জায়েন্ট স্ক্রিনে বড় করে সেটি চালানো হবে।